স্থানীয় প্রশাসন ও কতিপয় দুষ্কৃতকারীর আস্কারায় প্রায় দুই যুগের বেশী সময় ধরে নিছক-একটি সমবায় সমিতির সাইনবোর্ডর আড়লেই ছদ্মবেশী একটি চক্র চালিয়ে আসছে-উচ্ছেদ, জবরদখল, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সর্বপরি ভুমিদস্যুতা। যেন সেই মগের মুল্লুকী কায়দায় হুমকি-ধমকি ও আটক রেখে মারধর, এমন কি-অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ভিটেমাটি লিখে নিয়ে আসছে। শুধু তাই নয়, ইচ্ছে হলে চক্রান্ত করে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। এটা যেন তাদের যেন ব্যবসা। এ অভিযোগ-মো. শাহজাহান মুন্সী নামের জনৈক ভুক্তভোগীর। আর তা হলো দক্ষিন কেরানীগঞ্জের ঘোষকান্দা এলাকায় ভুমিদস্যুতার নেপথ্যে ঘেরা ছদ্মবেশী ওই প্রতিষ্ঠানটির নাম-“আল-মুজাহিদ বহুমুখি সমবায় সমিতি লি:”র বিরুদ্ধে। যার মূল হোতা- সাবেক ও বর্তমান সভাপতি মোতাহার হোসেন ও আনোয়ার হোসেন।
সাইনবোর্ডধারী ওই দুস্কৃতকারী চক্রের অন্যতম হোতা মোতাহার হোসেন ও আনোয়ার হোসেনের নিরবচ্ছিন্ন দৌরাত্মের শিকার, দক্ষিন কেরানীগঞ্জের ঘোষকান্দার স্থানীয় বাসিন্দা শাহজাহান মুন্সী জানান, তাদের দীর্ঘ সময় ধরে তাদের নির্বিঘ্ন অত্যাচার-নির্যাতনে কোনঠাসা অসংখ্য লোকের সারির তিনি অন্যতম একজন। এর আগে অনেক লোককে এভাবে বিতাড়িত করলেও তিনি তার নিজস্ব স্থানীয় অস্তিত্বের বলে কোন মতে টিকে থাকেন। কিন্তু সবশেষ তিনি সদ্য ওই “আল-মুজাহিদ বহুমুখি সমবায় সমিতি লি:”র জুলুমবাজদের দৌরাত্মের শিকার হন। আর তা থেকে বাঁচার জন্য এখনো দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। পচ্ছেন না কোন সুফল। কারণ তারা ফের নতুন তকমায় হয়ে উঠেছে-সক্রিয়। তারা ফের স্থানীয় প্রশাসনসহ এলাকার ওই শ্রেণীর নয়া দুস্কৃতকারীদের সাথে সখ্যতা গড়ে নতুন করে তাকে এলাকা ছাড়া করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আর করে যােেচ্ছ-একটার পর একটা চক্রান্ত। তারই ধারাবাহিকতায়,চক্রটি সদ্য তার (শাহজাহান মুন্সীর) নিজ বাড়ির কাজের জন্য প্রয়োজনীয় মালামাল পর্যন্ত প্রবেশে বাধা দিয়ে তাকে মারাত্বক ক্ষতির মুখে ফেলে। এতে প্রায় ৩০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল নষ্ট হয়। আর এ নিয়ে তিনি স্থানীয় প্রশাসনের দারস্থ হয়ে উল্টো পড়েন বিপাকে। থানা পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোন ধরনের পদক্ষেপ নিতে বরাবরের মত করেন-গড়িমশি। তাদের অবৈধ সুবিধা নিয়ে নিরবতার আস্কারায় চক্রটি হয়ে উঠেছে-আরো বেপরোয়া।
আরো জানান,দীর্ঘ সময় ধরে তিনি ও তার পরিবার ওই “আল-মুজাহিদ বহুমুখি সমবায় সমিতি লি:”র নামে ওই প্রতিষ্ঠানটির ছদ্মবেশী হোতা মোতাহার,আনোয়ারের উচ্ছেদ ও দখলদারির তৎপরতার জুলুমবাজিতে দিশাহারা। এ যাবৎ তাদের বেপরোয়া দাপটের কাছে কেউ বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার সাহসই পেত না। কারন তাদের বিরুদ্ধে দেয়া অভিযোগ কেউ আমলে তো নিতই না,বরং তাতে উল্টো তাদের নির্যাতনের ঝুকিতে পড়তে হতো। সম্প্রতি দেশের পট পরিবর্তনে এলাকার অসংখ্য ভুক্তভোগী কিছুটা নড়েচড়ে বসার সাথে সাথে ওই ভুমিদস্যু চক্রটিও পাল্টে ফেলেছে-তকমা। চক্রটির বরাবরের হোতা জুলুমবাজ মোতাহার, আনোয়ার হয়ে উঠেছে-নতুন কায়দায় তৎপর।
সরেজমিনে জানা যায়, বরাবরই সন্ত্রাসী বাহিনীর বেশামাল নির্যাতনের শিকার হয়েও কোন প্রতিকার না হওয়ায় তা একধারনের মামুলি বিষয়ে রূপ নিয়েছে। তার ধারাবাহিকতায়, কয়েক মাস আগে এলাকার পঞ্চায়েত কমিটির মো. রাসেল (৪৫) নামের সদস্যকে তাদের দক্ষলদারি ও জুলুমবাজির বিরুদ্ধে কথা বলার অপরাধে নির্মম নির্যাতন চালায়। তার দিয়ে অন্যদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতে প্রকাশ্যে নির্যাতনে অজ্ঞান হওয়ার পর সজ্ঞান করে করে একটানা তিন ঘন্টা চালানো হয়-বেধড়ক মারধর। আর তাতে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে ফের ক্ষোভ ও হতাশা ছড়িয়েছে পড়েছে। এ ব্যাপারে দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানা থেকে এ ব্যাপারে কোন সদুত্তোর মিলেনি। আর ওই “আল-মুজাহিদ সমবায়”র সাবেক সভাপতি মোতাহার হোসেনের সাথে মোবাইলে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি কথা না বলে ফোনটি কেটে দেন। ওই “আল-মুজাহিদ বহুমুখি সমবায় সমিতি লি:”র ঠিকানা-রাজধানীর শ্যামপুর থানা এলাকার ৫১ পোস্তগোলা শিল্প এলাকা,৭ নং প্লট (৩য় তলা), জুরাইন রেলগেট।
আমার বার্তা/এমই