
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আন্তঃবিভাগ ও আন্তঃহল ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস ও ভলিবল ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভলিবল মাঠে এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব-উল-আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ধর্মগ্রন্থ পাঠ, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, পতাকা উত্তোলন, অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছা ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। পরে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যের মাধ্যমে প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এছাড়ও ডিসপ্লে ও দলীয় নৃত্য প্রদর্শন করে শিক্ষার্থীরা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে শিক্ষা ও ক্রীড়া উভয় ক্ষেত্রেই অনন্য উজ্জ্বলতার স্বাক্ষর রেখে চলেছে। এই প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত হয়েও ইবি ক্রীড়া ক্ষেত্রে সাফল্যের কারণে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে বিশেষ স্থান অধিকার করেছে। পাশাপাশি শিক্ষা ক্ষেত্রেও আমরা গৌরবজনক অবস্থানে রয়েছি। আমি মাননীয় সচিব মহোদয়ের কাছে অনুরোধ জানাই-ক্রীড়া বিভাগের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবেন। একইসঙ্গে যুব প্রশিক্ষণ, স্কিল ডেভেলপমেন্ট ও এআই যোগ্যতা বৃদ্ধিতে তার মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।”
প্রধান অতিথি যুব ও ক্রীড়া সচিব মো. মাহবুব-উল-আলম বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রথমে গাজীপুরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল আন্তর্জাতিক মানের একটি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার লক্ষ্যে। পরবর্তীতে কুষ্টিয়ায় স্থানান্তরিত হয়ে আজকের এই বিশাল ক্যাম্পাসে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। আমি নিজেও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। তাই আজকের এই উপস্থিতি আমার কাছে এক নস্টালজিক মুহূর্ত। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দেশের প্রশাসনে অবদান রাখছে। বর্তমানে সরকারের তিনজন সচিবসহ বহু কর্মকর্তা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী- যা ইবির শিক্ষার মান ও মর্যাদার প্রমাণ বহন করে। আমরা যা কিছু করি, তার উদ্দেশ্য হচ্ছে জীবনমানের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন। বর্তমান বিশ্বে টিকে থাকতে হলে আমাদেরকে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত হতে হবে। আর সেই প্রস্তুতির শ্রেষ্ঠ স্থান হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। তোমাদের মধ্যে দেশপ্রেম, শ্রদ্ধাবোধ ও আত্মনিবেদন থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, খেলার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রতিযোগিতা ও সহনশীলতা শেখা। এটি আমাদের শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মানসিক দৃঢ়তা গড়ে তোলে। ইসলামী শিক্ষা আমাদের শিখিয়েছে- শারীরিক ও আর্থিকভাবে সক্ষম না হলে প্রকৃত অর্থে আমরা সমাজ ও রাষ্ট্রে অবদান রাখতে পারি না।”
উল্লেখ্য, এবারের প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী এবং হলের প্রতিনিধিরা ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস ও ভলিবল খেলায় অংশ নিচ্ছেন।
আমার বার্তা/এমই

