
প্রতিষ্ঠার ৪৬ বছর পেরিয়ে ৪৭-এ পা দিয়েছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।
শনিবার (২২ নভেম্বর) ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ঘিরে সকাল থেকেই ক্যাম্পাসজুড়ে ছিল উৎসবের আমেজ। আলোকসজ্জায় সজ্জিত ভবন, রঙিন আলপনায় সাজানো প্রধান সড়ক ও শিক্ষার্থীদের ভিড়ে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় মুখরিত হয়ে ওঠে।
জানা যায়, দিবসটি উপলক্ষে সকালে আবাসিক হলসমূহে জাতীয় পতাকা ও হলের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসটির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। পরে বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় ফুটবল মাঠে পতাকা উত্তোলন, কেক কাটা, পায়রা ও বেলুন উড়ানোর মধ্য দিয়ে ৪৮তম বর্ষে পা দেয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। এসময় নির্ধারিত ব্যানার নিয়ে অংশ নেন বিভিন্ন বিভাগ, হল, ইনস্টিটিউট ও অফিসের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
পরে বর্ণিল শোভাযাত্রায় মুখর হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে শোভাযাত্রাটি বিভিন্ন সড়ক ঘুরে প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্থাপিত ভিত্তিপ্রস্তর চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয় ও তার আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে বেলা সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আলীনূর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। এছাড়াও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও বিভিন্ন শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের নেতারা বক্তব্য রাখেন। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইটসহ বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতারা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
আলোচনাসভায় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ‘৪৭ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক অগ্রগতি হলেও লক্ষ্য পূরণে কিছু ত্রুটি ছিল, যার দায়ভার আমরা সবাই বহন করি। আমাদের উদ্দেশ্য হলো ইসলাম ও আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর এক বছরে ইসলামি শিক্ষার জন্য একটি অনুষদ ও আরও ৫টি নতুন বিভাগের প্রস্তাবনা পাস করিয়েছি, যা সরকারি অনুমোদনের অপেক্ষায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতির জন্য শিক্ষক, ছাত্র, কর্মকর্তা ও প্রশাসনের সবার সহযোগিতা, আন্তরিকতা ও গঠনমূলক সমালোচনা প্রয়োজন। আমরা সম্মিলিতভাবে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাব।’
দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে বাদ জোহর কেন্দ্রীয় মসজিদে বিশেষ দোয়া-মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও সন্ধ্যায় মিলনায়তনে ইরানি চলচ্চিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে বলে জানা যায়।
আমার বার্তা/এল/এমই

