আওয়ামী সরকারের আমলে চাকরিচ্যুত এবং আদালতে মামলা চলমান ও রায়প্রাপ্তদের চাকরিতে সব সুযোগ-সুবিধাসহ পুনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন করছেন বিভিন্ন সময়ে চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা।
সোমবার (১২ আগস্ট) সচিবালয়ের প্রধান ফটকের সামনে তারা এক দফা দাবিতে এ মানববন্ধন করেন। এতে অংশ নিয়েছেন এসআই, এএসআই ও কন্সটেবল পদ থেকে চাকরি হারানো পুলিশ সদস্যরা।
মানববন্ধনে তারা বলেন, আওয়ামী সরকারের আমলে ভিন্নমতের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা না দেওয়া, গুলির নির্দেশ অমান্য করা, অভিযুক্তকে না পেলে তার পরিবারের সদস্যদের গ্রেপ্তার না করাসহ জুনিয়র অফিসারদের অনেকের পরিবার বিএনপিপন্থি হওয়ায় বিভিন্ন সময়ে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
তারা আরও বলেন, আমাদের এক দফা এক দাবি। আমাদের চাকরি অবৈধভাবে হরণ করা হয়েছে। আমরা চাকরি ফেরত চাই। চাকরি না থাকায় আমাদের সদস্যরা মানবেতর জীবনযাপন করছে। অদৃশ্য ও কাল্পনিক অভিযোগ দিয়ে মতের অমিল হলেই আমাদের চাকরি খেয়েছে। নতুন বাংলাদেশে আমাদের চাকরি এবং সব সুযোগ-সুবিধা ফেরত চাই।
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক এসআই বলেন, বিসিএস দিয়ে আসা অফিসাররা আমাদের চাকরবাকর মনে করে। অনেক ঘৃণ্য ব্যবহার করে, গালিগালাজ করে। তাদের অবৈধ আদেশ যথাযথভাবে পালন না করলেই অকথ্য ভাষায় গালি দেয়, চাকরি খায়।
তিনি বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে তারা গায়েবি একটা অভিযোগ দাড় করায়। এরপর অভিযোগ গঠন ও চার্জ গঠন করে ব্যবস্থা নেয়। আমাদের বিরুদ্ধে অসদাচরণসহ নানা অভিযোগ দেখায়।
ভুক্তভোগী এই এসআই বলেন, গোপালগঞ্জে বাড়ি ছিল এসপি মুরাদ আলীর। তিনি যে কি নির্মম আচরণ করেছেন তা বলার ভাষা নেই।
তিনি আরও বলেন, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজির, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনসহ সিনিয়র অফিসারদের একটি সিন্ডিকেট ছিল। সিনিয়র অফিসাররা যা আদেশ করতেন আমাদের গাধার মতো পালন করা লাগত।
এসময় বিক্ষোভকারী চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। তারা ‘হই হই রই রই, বেনজির তুই গেলি কই’, ‘হই হই রই রই হারুন, তুই গেলি কই’, ‘হই হই রই রই, মামুন তুই গেলি কই’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।
আমার বার্তা/এমই