রাজধানীর হাজারীবাগের বাসা থেকে তৌফিক হোসেন (২৮) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ ।
নিহত তৌফিক হাজারীবাগের মোঃ অলিউর রহমান এর ছেলে। তিন ভাইয়ের মধ্যে সে সবার ছোট বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালের দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহতের বাবা অলিউর রহমান জানান, আমার ছোট ছেলে তৌফিক বিবাহিত ছিল। গত দুই মাস যাবত একটি জুতার ফ্যাক্টরিতে কাজ করত সে। এ সময় সে বড় ভাইয়ের সাথে হাজারীবাগের ৯২/২ নং শিকারি টোলা তৃতীয় তলায় ভাড়া থাকতো।তৌফিকের স্ত্রী গ্রামের বাড়িতে থাকতো। গতকাল জুম্মার নামাজ পড়ার জন্য তৌফিকের বড় ভাই বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। আমি ছেলের জন্য খাবার নিয়ে আসার আগে বেশ কয়েকবার তাকে মোবাইলে ফোন দেই। কিন্তু সে মোবাইল ফোনটি রিসিভ করেনা। পরে বিষয়টি সন্দেহ হলে রাতের বেলা রুমে এসে দেখি দরজা খোলা। পরে রুমে তাকে না পেয়ে বারান্দায় গিয়ে দেখি গলায় ওড়না পেঁচিয়ে মেঝেতে পড়ে আছে আমার ছেলে। এ সময় তার মাথা থেকে রক্ত ঝরছিল। হয়তোবা গলায় ওড়না পেচিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলতে গিয়ে শরীরে ওজন থাকায় ওড়না ছিড়ে সে মাটিতে পড়ে
গেলে মাথায় আঘাত হয় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় তার।পরে আমরা বিষয়টি থানা পুলিশকে খবর দেই। পরে পুলিশ এসে আমার মৃত ছেলের মোবাইল কল লিস্ট ধরে জানতে পারে সন্ধ্যার দিকে সে তার স্ত্রীর সাথে সর্বশেষ কথা বলেছিল। আমার ছেলে কি তার স্ত্রীর উপর অভিমান করে এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে, নাকি এটি অন্য কিছু আমরা এ ব্যাপারে কিছু জানি না। কিন্তু ঘটনার আগে থেকেই ঘরের দরজা খোলা ছিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাজারীবাগ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই)মোঃ আবু সাঈদ চৌধুরী জানান, খবর পেয়ে গতরাত সোয়া ১২টার দিকে উল্লেখিত বাড়ির তিনতলার বারান্দা থেকে গলায় ওড়না প্যাচানো মেঝেতে পড়ে থাকা অবস্থায় ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করি।
এসআই আরও জানান আমরা ধারণা করছি ওই যুবকটি গলায় ওড়না পেঁচিয়ে বারান্দায় সিলিং ফ্যানের হুকের সাথে ঝুলে ছিল এবং তার দেহের ওজনের কারণে ওড়না ছিড়ে মাটিতে পড়ে যাওয়ার সময় মাথায় আঘাত লেগে রক্তাক্ত জখম হওয়ায় সেখানে তার মৃত্যু হয়। তবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে বিষয়টি জানা যাবে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়ার চলমান রয়েছে বলেও জানান এসআই আবু সাঈদ।
আমার বার্তা/জেএইচ/এমরানা