বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন গুরুতর আহত ১৩ জন রোগীকে দেখতে আসেন ১২ জন অবসরপ্রাপ্ত সচিবরা।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে তাঁরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে আসেন ।
ঢামেকে চিকিৎসাধীন রোগীদের দেখতে আসা অবসরপ্রাপ্ত সচিবরা হলেন, মো. আখতারুজ্জামান তালুকদার সিনিয়র সহকারী সচিব (পিআরএল), মো. ফরিদুল ইসলাম, সিনিয়র সহকারী সচিব (পিআরএল), মো. ইহসানুল হক, সিনিয়র সহকারী সচিব (পিআরএল), মোহাম্মদ শফিউল্লাহ, যুগ্ম সচিব (অবসরপ্রাপ্ত), মোহাম্মদ আলী, সিনিয়র সহকারী সচিব (পিআরএল), মো. তাজুল ইসলাম, উপসচিব (অবসরপ্রাপ্ত), ড. মো. জাহিদুল ইসলাম সিনিয়র সহকারী সচিব (পিআরএল), মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপসচিব (অবসরপ্রাপ্ত), ড. আবু বকর, উপসচিব (পিআরএল), মো. মকবুল হোসেন, যুগ্ম সচিব (অবসরপ্রাপ্ত), মো. গিয়াস উদ্দিন মোগল, উপসচিব (অবসরপ্রাপ্ত) ও মো. মনিরুজ্জামান, উপসচিব।
এ সময় তারা ঢামেকে চিকিৎসাধীন ১৩ জন গুরুতর আহত রোগীর চিকিৎসা সেবায় আগ্রহ প্রকাশ করেন। এবং তারা ঢামেকের চিকিৎসকদের গৃহীত চিকিৎসা সেবার প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামান বলেন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে গুরুতর আহতদের মধ্যে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের ৬১৭ নং ওয়ার্ডে ১০জন, হাসপাতালের পুরাতন ভবনের ৯০১ নং ওয়ার্ডে ২জন ও কেবিন ব্লকে ১ জন চিকিৎসাধীন আছেন।
অবসরপ্রাপ্ত সচিবরা আহতদের চিকিৎসার খোঁজ নিতে আসেন। তারা ব্যক্তিগত এবং সমন্বিত ফান্ড থেকে আহতদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
হাসপাতালের পরিচালক আরও জানান, এখন পর্যন্ত আহতদের আমাদের ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসকরা যতটুকুই চিকিৎসা সেবা দিয়েছে সেটার প্রতি তারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতিমধ্যেই গুরুতর আহতদের ৬ জনকে টার্কি এবং থাইল্যান্ডে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। তাদের ভিসা প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব অল্প সময়ের মধ্যেই তারা চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাবেন।
আমার বার্তা/এম রানা/এমই