ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেছেন, কোরবানির বর্জ্য দ্রুততম সময়ে অপসারণের জন্য ডিএনসিসি সচেষ্ট রয়েছে। কোথাও আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখলে ডিএনসিসি হটলাইনে তথ্য দিলে দ্রুততার সঙ্গে বর্জ্য অপসারণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শহর থেকে সম্পূর্ণ বর্জ্য অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম চলমান থাকবে।
সোমবার (৯ জুন) ঢাকা উত্তর নগর ভবনে আয়োজিত কোরবানির বর্জ্য অপসারণ বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। বছরজুড়ে শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মানোন্নয়নের জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি ক্রয় করা হবে বলেও জানান ডিএনসিসি প্রশাসক।
ডিএনসিসিতে জনবল সংকট রয়েছে উল্লেখ করে এজাজ বলেন, প্রয়োজনের তুলনায় ১০ ভাগের এক ভাগ জনবল দিয়ে ডিএনসিসির সব কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এ সংকট উত্তরণে জনবল নিয়োগের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ বছর ডিএনসিসি আওতাধীন এলাকায় গরু, মহিষসহ মোট ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৮০টি পশু কোরবানি করা হয়েছে। আজ দুপুর ২টা পর্যন্ত ২০ হাজার ৮৮৯ টন বর্জ্য ল্যান্ডফিলে ডাম্পিং করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই বিপুল পরিমাণ বর্জ্য সুষ্ঠুভাবে ব্যবস্থাপনার জন্য আগেই ল্যান্ডফিলে কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য আলাদা ডাম্পিং স্থান নির্ধারণ করা হয়। কোরবানির আগেই বিভিন্ন সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করে আমিনবাজার ল্যান্ডফিল প্রস্তুত রাখা হয়। ফলে এবার কোরবানির বর্জ্য অপসারণের কাজ সহজে ও সঠিকভাবে সম্পন্ন করা যাচ্ছে।
ডিএনসিসি প্রশাসক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানান। একই সঙ্গে তিনি ময়লা পরিবহনকারী গাড়ি চলাচলে সহায়তা করার জন্য ঢাকার ট্রাফিক বিভাগকেও ধন্যবাদ জানান। এসময় বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ঢাকাবাসীর সক্রিয় অংশগ্রহণের কথা উল্লেখ করে তিনি নগরবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডোর এ বি এম সামসুল আলম এবং ডিএনসিসির অঞ্চল-৭ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো, খয়বর রহমান।
আমার বার্তা/এল/এমই