শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ফুল, নানা রঙের বেলুন, নকশা করা কাগজ ও জরি ব্যবহার করে গত কয়েক দিন ধরেই সাজানো হয়েছে ১৮টি গির্জা। শুধু গির্জা নয়, খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ‘বড়দিন’ পালনে সাজানো হয়েছে তাদের বাড়ি-ঘরও। নিজেদের জন্য কিনেছে বাহারি রঙের পোশাক ও বিভিন্ন ধরনের খাবার। গির্জায় গির্জায় বর্ণিল সাজে রেখেছে ক্রিসমাস ট্রি। এত সব আয়োজন ছিল শুভ বড়দিনকে ঘিরে।
বিশ্বজুড়ে খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীর ছোট-বড় সব মানুষের প্রবল আগ্রহ, উৎসাহ, উদ্দীপনা তার কেন্দ্র হচ্ছে যিশু খ্রিষ্টের জন্মদিন। এ দিনটি সবার কাছে পুণ্যময় বড়দিন বলেই পরিচিত।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীর তাৎপর্যপূর্ণ দিনটি ধর্মীয় ও সামাজিকভাবে জাঁকজমকের মধ্য দিয়ে উপজেলার ১৮টি গির্জায় ‘উৎসব ও আনন্দে’ পালিত হচ্ছে। উৎসবটি নির্বিঘেœ পালন করতে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে ১৮টি গির্জা রয়েছে। এসব গির্জায় দিনটি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করেছে এ ধর্মাবলম্বীরা।
মরিয়মনগর ধর্মপল্লীর পুরোহিত ফাদার লরেন্স রিবেরো সিএসসি বলেন, প্রায় দুই হাজার বছর আগে বর্তমান ফিলিস্তিনের দক্ষিণ জেরুজালেমের বেথেলহেম শহরের এক গোশালায় মাতা মেরির গর্ভে জন্ম নিয়েছিলেন যিশু খ্রিস্ট। সেই থেকে প্রতিবছরের আজকের দিনটিতে সারাবিশ্বের খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা মহাসমারোহে পালন করেন যিশুর জন্মদিন।
তিনি আরও বলেন, পাপ থেকে পরিত্রাণের জন্য এবং অন্তরের অন্ধকার দূর করে আলোর পথ দেখানোর বাণী নিয়ে পৃথিবীতে এসেছিলেন যিশু খ্রিস্ট। তিনি বলেছেন, ‘ধনী-গরিবে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। মানুষে মানুষে মিলন, শান্তি যেন স্থাপিত হয় যেন গোটা বিশ্বে।’ এমন প্রত্যাশা থাকবে এবারের বড়দিনে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম রাসেল, দিনটি উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার বিভিন্ন গির্জা পরিদর্শন করেছি। খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীরা যাতে নির্বিঘেœ তাদের উৎসব পালন করতে পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সরকারিভাবে প্রতিটি গির্জায় ৫০০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
আমার বার্তা/রাকিবুল হাসান রুবেল/এমই