ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় ৬ জনের প্রাণ কেড়ে নেওয়া বাসটির ফিটনেস ছিল না। দুর্ঘটনার আগের দিন ঠিকঠাক করে বাসটি রাস্তায় নামানো হয়।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার হাঁসাড়া হাইওয়ে থানায় প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান হাইওয়ে পুলিশের গাজীপুর রিজিয়নের পুলিশ সুপার ড. আ.ক.ম. আকতারুজ্জামান বসুনিয়া।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় সড়ক পরিবহন আইনে ইতোমধ্যে মামলা হয়েছে। মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার নন্দনকোনা গ্রামের নিহত আমেনা আক্তারের বড় ভাই মো. নুরুল আমিন বাদী হয়ে এ মামলা করেন। আমরা ইতোমধ্যে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। এরা হলেন- চালক মো. নুর উদ্দিন (৩০) ও ঘাতক বেপারী পরিবহনের ব্যানার মালিক মো. ডাবলু বেপারী (৪৭)। পলাতক অজ্ঞাত আরও আসামি রয়েছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।
আকতারুজ্জামান বসুনিয়া বলেন, ঘটনার দিন ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় টোল দেওয়ার জন্য মাওয়াগামী ৩নং লেনে অপেক্ষায় ছিল একটি মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট কার। প্রাইভেট কারের ৪ জন মারা গেছেন। মোটরসাইকেলে থাকা এক ভদ্র লোক তার স্ত্রী ও সন্তানসহ টোল দিচ্ছিলেন। সেখানে শিশু মারা যায়, পরে হাসপাতালে শিশুর মায়ের মৃত্যু হয়। পেছন দিক হতে দ্রুত ও বেপরোয়া গতিতে বেপারী পরিবহন ধাক্কা দেওয়ার ফলে প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেলটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এ ঘটনায় ১১ জন গুরুতর আহত হন। তার মধ্যে মোট ৬ জন মারা যান।
তিনি আরও বলেন, আমরা চালককে আটক করার পর তার ডোপ টেস্ট করা হয়েছে। চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। গাড়িটি আগের দিন ঠিকঠাক করে রাস্তায় নামানো হয়। গাড়িটির ফিটনেস নেই। এক বছর আগেই ফিটনেস মেয়াদ শেষ হয়েছে। প্রাথমিকভাবে গাড়ির ব্রেক ঠিক আছে দেখা গেছে। তবে বিআরটিএর বিশেষজ্ঞরা এর রিপোর্ট দেবেন।
আকতারুজ্জামান বসুনিয়া বলেন, এ দুর্ঘটনার দায়, চালক, মালিক, পরিবহন ব্যানার মালিক কেউ এড়াতে পারেন না। হাইওয়ে পুলিশ ও র্যাবের অভিযানে চালককে তার ফুপুর বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে হাঁসাড়া হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল কাদের জিলানী উপস্থিত ছিলেন।
আমার বার্তা/এমই