নীলফামারীর জলঢাকায় তিস্তা সেচ প্রকল্পের আওতায় আইডিয়াল কলেজ হতে কালিরডাঙ্গা এস টারশিয়ারি ক্যানেল সংস্কার কাজের ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
ফসলি জমির মাটি কেটে ডাইকে দেয়া, ক্যানেলের ডাইকের মাটি কমপ্যাকশন না করা ও পলিথিন ছাড়াই মাটির ওপর সিসি ঢালাই দেয়ায় বর্ষায় ডাইক ধসে যাবে বলে এলাকাবাসীদের অভিযোগ ।বারবার বলার পরেও ঠিকাদার কর্ণপাত করেননি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ওই টারশিয়ারি ক্যানেলের উভয় ডাইক পুনর্বাসন ও শক্তিশালীকরণে ২০২২ সালে ৯ কোটি ৭৭ লাখ টাকা চুক্তিমূল্যে এম আর কনস্ট্রাকশন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চুক্তিবদ্ধ হয়।
অভিযোগসূত্রে জানাগেছে, কাজ শুরু হওয়ায় সেই ঠিকাদারের লোকজন নিয়ম বহির্ভূতভাবে ভেকু মেশিন দিয়ে ক্যানেল সংলগ্ন একোয়ারভুক্ত ফসলি জমির মাটি কেটে সেই মাটি ডাইকে তুলে দিচ্ছেন। এ ছাড়া কমপ্যাকশন ছাড়াই দুই ডাইকের মাটিতে পলিথিন না দিয়ে ময়লাযুক্ত পাঁচ মিশালি সিঙ্গেজ পাথর, ধুলার ন্যায় বালু ও কম সিমেন্টে যেনতনভাবে সিসি ঢালাই করছে।ফলে বর্ষাকালে ক্যানেলের পাড় ভেঙ্গে কৃষি জমির ক্ষতি হবে বলে মনে করছেন এলাকার কৃষকেরা।
ওই এলাকার কৃষক বিষ্ণু চন্দ্র রায় বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যেমন তেমন ভাবে এ কাজ করছে।একোয়ারভুক্ত মাটি কেটে নেওয়ায় আমাদের ফসল নষ্ট হয়ে গেছে এবং জমির উপরের অংশ খোয়া গেছে।তাই এ জমিতে আগামী ৪/৫ বছর কোন ফসল হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তার উপর তারা গোঁজামিল দিয়ে এসব কাজ করে যাচ্ছেন।ক্যালেনের কাজ ভালো না হলে বর্ষাকালে পাড় ভেঙ্গে জমির ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে।
এলাকার কৃষক কালিদাস ও বিজেন্দ্র রায় বলেন,প্রায় ৪/৫ ফিট গর্ত করে মাটি কেটে ক্যানেলে দিয়েছে এতে তাদের ফসল নষ্ট হয়েছে। আমাদেরকে না জানিয়ে ফসলের ওপর বেকু গাড়ি লাগিয়েছে আমাদের ফসলের ব্যাপক ভাবে ক্ষতি করেছে যাহা এটা অন্যায়।
এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এম আর কনস্ট্রাকশন (ম্যানেজার) প্রতিনিধির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমার সাথে যোগাযোগ না করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকের সাথে যোগাযোগ করেন।
সংশ্লিষ্ট কাজের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ এ প্রতিবেদককে বলেন, একোয়ারভুক্ত মাটি কাটার সুযোগ নেই কিন্তু কৃষকদের সাথে সমন্বয় করা উচিৎ ছিলো।এরপরেও কাজ চলমান রয়েছে।