দেশের দক্ষিণ অঞ্চল খুলনা জেলার শেষ উপজেলা সুন্দরবন ও কপোতাক্ষ নদী , শাকবাড়িয়া নদী, খোল পাটুয়া নদীর পাশ দিয়ে গোড়ে ওঠা কয়রা উপজেলা। এখানকার বেশির ভাগ মানুষ দরিদ্র জনগোষ্ঠী সুন্দরবন ছাড়া তেমন কোনো কর্মসংস্থান নেই এখানে। গত কয়েক দিন ধরে বেশ ঠান্ডা পড়ছে এতে করে জীবিকা নির্বাহের জন্য সুন্দরবনে মাছ, কাঁকড়া ধরতে যেতে পারছেনা প্রচন্ড শীতের জন্য বলে কয়েক জন জেলে জানান। ৭ই জানুয়ারি সকালে কয়রা সদর ইউনিয়নের ৬ নং কয়রা গ্রামের ভ্যান চালক মোঃ সলেমান ও মোছাক মোড়ল বলেন গত কয়েক দিন ঠান্ডা একটু বেশি পড়ার কারণে ভ্যানে করে আগে যে ভাবে মানুষ চলাচল করত তা এখন করছেনা। আগের তুলনায় সারাদিন যা রোজকার হতো তার তুলনায় অনেক কম হচ্ছে। দিন মুজুর মোঃ মিজানুর বলেন সারাদিন অন্যের কামলার কাজ করে নিজের সংসার চালায় শীতের জন্য ঠিক মতো কাজ করতে পারছিনা কোনো রকম ভাবে চলছে সংসার। চা বিক্রেতা মতিয়ার বলেন আমি প্রতিদিন চা বিক্রয়ের পাশাপাশি পরটা ভাজি বিক্রি করি সম্প্রতি শীত বেশি পড়ার কারণে মানুষ ঠিক মতো সকালে বের হয়না বেচা-কেনা ও কম হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর সুত্র থেকে জানা গেছে আরও বেশ কয়েক দিন ঠান্ডা থাকবে।