গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ বলেছেন, বর্তমান প্রেস কাউন্সিল তার গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে, বিলুপ্তি হওয়া দরকার। তিনি বলেন, এ প্রতিষ্ঠানের মেয়াদ শেষ হয়েছে তার কার্যকারিতাও হারিয়েছে। তারা বিগত ফ্যাসিবাদ সরকারের ভূমিকা নিয়েছিল। এটি বিলুপ্ত করে নতুন কোনও প্রতিষ্ঠান দাঁড় করাতে হবে।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, দেশের অন্যান্য জেলার চেয়ে সাংবাদিকতা পার্বত্য চট্টগ্রামে কিছুটা ভিন্নটা রয়েছে। পার্বত্য অঞ্চলে গণমাধ্যমকর্মীদের বাড়তি ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয়। গোষ্ঠীগত, গোত্রগতসহ নিরাপত্তা বাহিনীর চাপ রয়েছে। সমতলের চেয়ে এখানে বাড়তি ব্যয়, বাড়তি শ্রম রয়েছে।
সাংবাদিকদের জবাবদিহিতা ও স্বাধীনভাবে কাজ করতে সুপারিশমালা দেওয়া হবে উল্লেখ করে কামাল আহমেদ আরও বলেন, গণমাধ্যম সংস্কারের বিষয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সুপারিশমালাও নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে কয়েকটি রাজনৈতিক দল তাদের সুপারিশমালা পেশ করেছে। এছাড়া গণমাধ্যম সংস্কারের জন্য সব থেকে বড় অংশীজন হলো জনসাধারণ। ইতোমধ্যে ৪৬ হাজার মতামত নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, পেশাগত বাধার ব্যাপারে আইনি সুরক্ষা দরকার। বিগত ১৫ বছরে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মানহানিসহ বিভিন্ন হয়রানির মামলা হয়েছে সেগুলোর প্রত্যাহার করা দরকার ও ক্ষতিপূরণ দেওয়া দরকার।
সভায় তিন পার্বত্য জেলা থেকে প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক্স ও অনলাইন মিডিয়ার প্রায় ৮০ সংবাদকর্মী অংশ নেন।
মতবিনিময় সভায় সংবাদকর্মীরা বলেন, গণমাধ্যমকর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সর্বদা মাঠ পর্যায়ে কাজ করে থাকে। কিন্তু তারা পরিশ্রম অনুযায়ী বেতন-ভাতা পান না। তাদের জীবিকা এবং জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রয়োজন। এছাড়া সাংবাদিকদের জন্য নির্দিষ্ট শিক্ষাগত অর্জন সাপেক্ষে নিয়োগ প্রদান এবং যারা সাংবাদিকতা পেশায় আসতে চান তাদের জন্য প্রেস কাউন্সিল বা পিআইবি কর্তৃক কোর্স পাসের পর এ পেশায় সুযোগ রাখার দাবিও তুলে ধরেন সাংবাদিকরা।
জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভায় এসময় উপস্থিত ছিলেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য বেগম কামরুন্নেসা হাসান, মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন ও মো. মোস্তফা সবুজ।
আমার বার্তা/এমই