হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় বিপর্যস্ত দিনাজপুরের জনজীবন।
ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় কাবু হয়ে পড়েছে উত্তরাঞ্চলের মানুষ।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৫ কিলোমিটার।
গত কয়েকদিন ধরেই উত্তরাঞ্চলের এ জেলাটিতে বেড়েছে শীতের দাপট। গ্রামের নিম্ন আয়ের মানুষগুলো খরকুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। ঘন কুয়াশার কারণে সন্ধ্যার পর থেকে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হয়। সড়ক-মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করছে। নিতান্তই প্রয়োজন কিংবা জীবিকার তাগিদে ছুটে চলা মানুষের দেখা মিলছে পথে-ঘাটে। অন্যদিকে আলু, রসুন ও বোরো ধানের বীজতলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে কৃষক।
আলু চাষি রফিক মিয়া বলেন, দুঃখের কথা কি কহবো (বলবো) ভাই, আজকে খুব শীত, শীতের কারণে মাঠে থাকা যায় না, আলুর গাছ ও কুকড়ে যাচ্ছে, পচন ও ধরতে পারে।
স্থানীয় এক রিকশাচালক বলেন, ঘন কুয়াশা আর শীতের কারণে সকাল সকাল কোনো মানুষ বাসা থেকে বের হচ্ছে না। যার ফলে রিকশায় লোকজন উঠে না। আমার আয় কমে গেছে। সংসার পরিচালনা করতে কষ্ট হচ্ছে। শীতকে উপেক্ষা করে রিকশা নিয়ে বাহির হয়েছি।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টায় দিনাজপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। শীতের প্রকোপ থাকবে আরও কয়েক দিন।