দীর্ঘ আট মাস বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আবারও ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ভারত থেকে দুটি ট্রাকে করে ১০ টনের বেশি কাঁচা মরিচ হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করে।
হিলি স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেড সূত্রে জানা গেছে, এদিন বিকেলে বগুড়ার এন পি ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড ৩ টন ৫০০ কেজি এবং হিলির মেসার্স সততা বাণিজ্যালয় ৬ টন ৭২০ কেজি কাঁচা মরিচ আমদানি করে।
স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, সর্বশেষ গত বছরের ১৪ নভেম্বর হিলি বন্দর দিয়ে ভারত থেকে তিনটি ট্রাকে ৩১ টন ৮৩ কেজি কাঁচা মরিচ এসেছিল। এরপর থেকে ৭ মাস ২৬ দিন কাঁচা মরিচ আমদানি বন্ধ ছিল।
স্থানীয় বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত বিরামপুর ও আশপাশের খুচরা বাজারে কাঁচা মরিচের দাম ছিল মানভেদে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি। তবে মে মাসের শেষদিকে শুরু হওয়া দাবদাহে মাঠের মরিচ গাছ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার ফলে উৎপাদন কমে যায়। এর প্রভাবে বাজারে মরিচের দাম বাড়তে থাকে।
ফলে সাম্প্রতিক সময়ে বিরামপুর ও হিলির খুচরা বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। তবে গতকাল (বৃহস্পতিবার) সকালে বিরামপুরের খুচরা বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে, যা আমদানি শুরুর পরও এখনো স্থিতিশীল হয়নি।
বিরামপুর পৌর শহরের নতুনবাজার এলাকায় সবজির পাইকারি বাজারের কাঁচা মরিচের ব্যবসায়ী মানিক হোসেন বলেন, গত মাসে খরার কারণে কাঁচা মরিচের উৎপাদন ব্যাহত হয়। এতে বাজারে সরবরাহ কমে গেছে, দামও বাড়তি। তিন দিন আগেও পাইকারিতে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গতকাল সকালে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ (বিজলী প্লাস) ১৩০ টাকা পাইকারি দরে বিক্রি করেছি। ভারত থেকে কাঁচা মরিচের আমদানি বাড়লে বাজারে দামও কমবে।
হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানির জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে এ পর্যন্ত তিনটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আড়াই হাজার টন কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি (আইপি) পেয়েছে।
আমার বার্তা/জেএইচ