
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে পেয়ারা খাতুন (৪১) নামে এক নারী ইউপি সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার পর নিহতের স্বামী ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম ও তার পরিবার আত্মগোপন চলে গেছেন বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সকালে উপজেলার হাবিবুল্লাহ নগর ইউনিয়নের রতনকান্দি গ্রামের স্বামীর বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
পেয়ারা খাতুন একই গ্রামের হানিফ সরকারের মেয়ে। তিনি ওই ইউনিয়নের ১,২ ও ৩ নম্বর সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ছিলেন।
স্থানীয়রা জানায়, ৬-৭ বছর আগে পেয়ারা খাতুন তার প্রথম স্বামীকে তালাক দিয়ে আব্দুল আলীমকে বিয়ে করে। এ বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কোনো একসময় পেয়ারা খাতুনকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর স্বামী আব্দুল আলীম ও তার পরিবারের লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। এরপর সকালে প্রতিবেশীরা বাড়িতে কাউকে না পেয়ে ঘরের দরজা খুলে দেখে বিছানায় পেয়ারা খাতুনের মরদেহ পড়ে আছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে।
নিহতের চাচা রহিম উদ্দিন সরকার অভিযোগ করে বলেন, আব্দুল আলীমের স্ত্রী থাকার পরেও ব্ল্যাকমেইল করে পেয়ারা খাতুনকে দ্বিতীয় বিয়ে করে। এ বিয়ের পর চাপ সৃষ্টি করে ধাপে ধাপে পেয়ারার কাছে থেকে ১৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে টাকা দিতে না পারায় নানাভাবে নির্যাতন করতো ৷ এ নিয়ে স্থানীয় মুরুব্বিদের নিয়ে একাধিক সালিশও করেছেন তারা। এই দ্বন্দ্বের জেরেই আব্দুল আলীম তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে তিনি দাবি করেন। তিনি এই হত্যাকাণ্ডের ফাঁসি চান।
শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আছলাম আলী এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ওই নারী ইউপি সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।
আমার বার্তা/এল/এমই

