লেনদেন খরা কাটছে না দেশের শেয়ারবাজারে। চার মাস পর চলতি সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন (২০ অক্টোবর) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন কমে ৩০০ কোটি টাকার ঘরে নেমে আসে।
এরপর মঙ্গলবার কিছুটা বাড়লেও আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) আবার লেনদেন ৩০০ কোটি টাকার ঘরে নেমে আসে। সেই সঙ্গে কমেছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম। তবে মূল্যসূচক কিছুটা বেড়েছে।
অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) দাম কমার তালিকায় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান থাকার পাশাপাশি কমেছে মূল্যসূচক। তবে লেনদেন সামান্য বেড়েছে।
এদিন ডিএসইতে লেনদেনের পুরো সময়জুড়ে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা যায়। এই অস্থিরতার মধ্যে লেনদেনের বেশিরভাগ সময় সূচক ঋণাত্মক থাকলেও শেষ পর্যন্ত সূচক বেড়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১৪৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ১৭৮টির। আর ৭৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
ভালো কোম্পানি বা ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি লভ্যাংশ দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১০৫টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে ৮১টির দাম কমেছে এবং ৩৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মাঝারি মানের বা ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেওয়া ২৪টি কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে ৪৪টির দাম কমেছে এবং ১৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়ার কারণে ‘জেড’ গ্রুপে স্থান হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১৬টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৫৩টির এবং ২৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আর তালিকাভুক্ত ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ১৪টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে ৬টির দাম কমেছে এবং ১৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৯৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৫ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯৭৪ পয়েন্টে উঠে এসেছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক দশমিক ৫৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৭৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিকে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৫৫ কোটি ৪ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪৭৮ কোটি ১ টাকা। এ হিসেবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ১২২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে গত ২৩ জুনের পর ডিএসইতে সব থেকে কম লেনদেন হলো।
এই লেনদেনে সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছে ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার। কোম্পানিটির ২৭ কোটি ১১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা খান ব্রদার্স পিপি ওভেন ব্যাগের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ১১ লাখ টাকার। ১৩ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, লাভেলো আইসক্রিম, ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক এবং সোনালী পেপার।
অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৩ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৩ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭২টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৯৩টির এবং ১৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ২৮ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১২ কোটি ২৩ লাখ টাকা।
আমার বার্তা/এল/এমই