
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (২৩ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের উত্থানের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিক পতনের ফলে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪ হাজার ৯০০ পয়েন্টের ঘরে নেমেছে।
আগের কার্যদিবসের চেয়ে রোববার ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমলেও সিএসইতে বেড়েছে। তবে উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম বেড়েছে।
বাজার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অনেক দিন ধরে পুঁজিবাজারে লেনদেনের শুরুতে সূচকের উত্থান দেখা গেলেও লেনদেন শেষে তা পতনে রূপ নেয়। এদিন সকাল থেকেই ডিএসইএক্স সূচকের পতনমুখী প্রবণতায় লেনদেন শুরু হয়। তবে বেলা ১১টা ২০ মিনিটের পর সূচক ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করে। লেনদেন হওয়ার আগ পর্যন্ত তা অব্যাহত ছিল।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৪৬.৭৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৯১৫ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৯.৪১ পয়েন্ট বেড়ে ১০২৭ পয়েন্ট এবং ডিএস৩০ সূচক ৫.৪৮ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৮৮৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে মোট ৩৮১টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ২৫০টি কোম্পানির, কমেছে ৮৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৪৭টির।
ডিএসইতে মোট ৩৮৫ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪৪৫ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ১৩.০৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৪৩১ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৪.৪৫ পয়েন্ট বেড়ে ১৩ হাজার ৬৭৬ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ২.১৩ পয়েন্ট বেড়ে ৮৬৩ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ২৭.২০ পয়েন্ট কমে ১২।
সিএসইতে মোট ১৬৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৯৫টি কোম্পানির, কমেছে ৫৬টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৫টির।
সিএসইতে ১৫ কোটি ২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছিল ৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকার।
আমার বার্তা/এল/এমই

