
সব দেনা-পাওনা ও ক্ষতিপূরণ পরিশোধ করে অগ্রণী ব্যাংকের এজেন্ট সার্ভার চালুর দাবি জানিয়েছেন অগ্রণী ব্যাংকের এজেন্ট উদ্যোক্তারা।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উদ্যোক্তাদের পক্ষে মো. আবু সাইদ বলেন, বিগত ১০ বছর ধরে অগ্রণী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সফল সেবা হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনেও প্রমাণিত। কিন্তু গত ১৯ জুন অগ্রণী ব্যাংক হঠাৎ করেই সারা দেশে আমাদের সব এজেন্ট আউটলেট একসঙ্গে বন্ধ করে দেয়। আমাদেরকে সাময়িক বন্ধের নোটিশ দিয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছিল যে দ্রুতই তারা নিজস্ব ব্যবস্থায় এজেন্ট চালু করবে। ব্যাংকের জিএম রাউফা হকও তা নিশ্চিত করেছিলেন। দুঃখজনকভাবে আজ প্রায় ৬ মাস পার হয়ে গেলেও ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের সেই সাময়িক বন্ধ শেষ হয়নি। প্রথমে তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের আপত্তির মিথ্যা অজুহাত দেখিয়ে ২০২৩ সাল থেকে বিল-কমিশন বন্ধ করে দেয়, সবশেষে এজেন্ট ব্যবসাই বন্ধ করে দেয়। আর এখন আদালতের অজুহাত দেখিয়ে ৬ মাস ধরে লাখো গ্রাহকের সার্ভিস চালু করছে না।
তিনি বলেন, আমরা উদ্যোক্তারা আজ নিঃস্ব হয়ে পথে বসেছি। প্রতিটি আউটলেট চালাতে আমাদের মাসে ৬০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা খরচ হয়, যা এখন আমাদের ব্যক্তিগত বিনিয়োগের বোঝা। এর চেয়েও দুঃখজনক, যখন আমরা ব্যাংকের এমডি, চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করি, তখন তারা জানিয়ে দেন তারা কোনো সমাধান করবেন না। অথচ এই চেয়ারম্যান ও জিএম রাউফা হকই আমাদের কথা দিয়েছিলেন যে তারা নিজস্ব তত্ত্বাবধানে সফটওয়্যার আপগ্রেড করে আমাদের সঙ্গে সরাসরি চুক্তি করবেন। ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও জিএম শুধু তাদের ব্যক্তিগত এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে সফল একটি ব্যবসাকে ধ্বংস করে দিচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপন করা দাবিগুলো হলো–
১. অগ্রণী ব্যাংক অনতিবিলম্বে সব দেনা-পাওনা ক্ষতিপূরণসহ পরিশোধ করে এজেন্ট সার্ভিস চালু করুক। এক্ষেত্রে হাইকোর্টের আদেশ অবিলম্বে বাস্তবায়ন করা হোক, ব্যাংক অবিলম্বে আপিল বিভাগে তাদের আপত্তি তুলে নিয়ে এজেন্ট সেবা চালু করুক।
২. নারী ও তরুণসহ সারা দেশের উদ্যোক্তাদের দুর্দশার জন্য দায়ী চেয়ারম্যানের পদত্যাগ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনা হোক।
৩. আদালতে চলমান আরবিট্রেশন মামলা ব্যাংক কর্তৃক বারবার না পিছিয়ে দ্রুত নিষ্পত্তি করা হোক।
আমার বার্তা/এল/এমই

