ই-পেপার রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

বাকি জীবন বাংলাদেশে এসে থাকতে চান কবীর সুমন

নিজস্ব প্রতিবেদক:
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:২৬

‘আমার শেষ জীবন আমি যদি বাংলাদেশে থেকে আমার মা ভাষার সেবা করতে পারতাম, বাংলা খেয়াল শেখাতে পারতাম আমার আজকের স্বাস্থ্য যতটা অনুমতি দেবে ততটা অন্তত।’

এমন আকুতি উপমহাদেশের বরেণ্য সংগীতশিল্পী কবীর সুমনের। জীবনের শেষ দিনগুলো কাটাতে চান বাংলাদেশে। মরতে চান এ দেশেই।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক আইডিতে একটা দীর্ঘ পোস্ট দিয়ে এসব জানিয়েছেন গুণী এই সংগীতশিল্পী।

বয়সের কারণে প্রায়ই অসুস্থ থাকেন। কিছুদিন আগে টানা প্রায় সপ্তাহ খানেক হাসপাতালে থেকে এসে এমন উপলব্ধিই হয়েছে তার, এমনটাই উল্লেখ করেছেন ফেসবুক পোস্টে।

তিনি লেখেন, ‘এই কথা আমি আগেও অনেক বার বলেছি। তাও ফের বলছি কারণ আমার কথায় কোনও কাজ হচ্ছে না। এমন নয় যে সনাতনধর্মীয় নামধারী কোনও বঙ্গজ আমায় সম্মান করেন না। মুষ্টিমেয় কিছু বঙ্গজ করেন। কিন্তু বড্ড বেশি সংখ্যক সনাতনধর্মীয় বঙ্গজ আমায় ঢাক পিটিয়ে ঘৃণা করেন, এবং তা জাহির করে সনাতনী সুখ পান।

নিজের নামের ব্যাখ্যা করে এ শিল্পী লেখেন, ‘আর এক শ্রেণীর সনাতন-বঙ্গজ আছে যারা আমায় কবীর নামে ডাকতে চায় না। এরা, যা দেখেছি ‘বামপন্থী’। ২০০০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে আমার নাম ভারতের সংবিধান মোতাবেক, ঘোষিতভাবে কবীর সুমন। ফার্স্ট নেম কবীর। সার্নেম সুমন।

আমার আয়কর ফাইল র‌্যাশন কার্ড, পাসপোর্ট, ভোটার আই ডি, আধার কার্ড সর্বত্র এই নামটাই আছে। এই নামে আমি ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে লড়ে মাননীয় সি পি আই এম সদস্য ডক্টর সুজন চক্রবর্তীকে হারিয়ে দিয়ে লোকসভার সাংসদ হয়েছিলাম। ভারতের অন্তর্ভুক্ত পশ্চিম বাংলায় তা সকলের জানার কথা। তা সত্ত্বেও সি পি আই এম করা বঙ্গজরা আমায় আমার বর্জিত নামে ডাকেন। শুধরে দিলেও শুধরে নেন না। আর নকশালপন্থী দলের বঙ্গজ নেতাও (নামে সনাতনধর্মীয়) আমায় ভুলেও কবীর সুমন বলেন না, কবীর তো নয়ই। তিনি অবিরাম সুমন সুমন করে যান। এদিকে সকলেই নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকার, ব্যক্তিগত অধিকার বলতে গদগদ। আর একদল আছে, যারা আমায় গানওলা বলে ডাকে। কী বলি ‘

বাংলাদেশীরা তাকে সম্মান করেন এটা উল্লেখ করে বলেন, ‘যা বুঝেছি, আমায় নির্দ্বিধায় সম্মান করেন যাঁরা, প্রাপ্য সম্মানটুকু দেন যাঁরা তাঁরা সদলবলে বাঙলাদেশের নাগরিক। পশ্চিমবঙ্গের সনাতনধর্মীয় বঙ্গজদের মতো বাংলাদেশের কেউ আমায় সমানে, যে কোনও উপায়ে অপমান করে যান না। আর মাসখানেক পরে আমি ৭৫ পুরো করে ৭৬ এ পড়ব।’

তবে কলকাতা তার প্রথম জানিয়ে বলেন, ‘কলকাতা আমার প্রথম প্রেম। কলকাতা নামটা আমার গানে যতবার এসেছে আর কারুর কবিতায় গানে তা আসেনি। আমায় যাঁরা বাঁচিয়ে রেখেছেন তাঁরা সকলেই কলকাতার সনাতনধর্মীয় বঙ্গজ। তাঁদের ছেড়ে থাকতে পারব না। কিন্তু, কারুর কোনও ক্ষতি না করা সত্ত্বেও সমানে অপমানিত হতে হতে এবারে আমি চাইছি এই দেশটা, মায় এই শহরটাও ছেড়ে চলে যেতে। এখানকার সনাতনধর্মীয় বঙ্গজদের মধ্যে অন্তত দুজন ফেসবুকে ঘোষণাও করেছেন ‘হাসপাতাল থেকে ফিরে না এলেই ভাল হত।’ তার বিরুদ্ধে কেউ কিছু লেখেনি।’

মূলত এরকম দুঃখবোধ থেকেই বাংলা খেয়ালের এই শিল্পী বাংলাদেশে থাকতে চান বলে জানান তার পোস্টে। তার মৃত্যুর পর কি হবে সেটা জানিয়ে বলেন, ‘মরে যাবার পর কোনও ধর্মীয় শেষকৃত্যের প্রশ্নই উঠবে না। আমার দেহ দান করা আছে। বাংলাদেশে মরলে সেখানকার কোনও হাসপাতালে আমার শরীর কাজে লাগানো যেতে পারে। আজও আমি ফেসবুকে আমার সম্পর্কে সনাতনধর্মীয় বঙ্গজদের খিস্তি পড়েছি। এতে আমার মধ্যে কোনও উত্তেজনা জাগেনি। জাগছে এই "বিদেশটা" ত্যাগ করে ভাষা মতিনের দেশে গিয়ে আশ্রয় নেওয়া, সেই দেশের কাজে লাগার ইচ্ছে।’

তিনি বাংলাদেশের সরকারের কাছে সাহায্য চাইলেও পোস্টের শেষে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায়ের প্রতি। তিনি বলেন, ‘প্রকাশ্যে সাহায্য ও আশ্রয় চাইছি। এই রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী আমার আবেদনে সাড়া দিয়ে বাংলা খেয়ালকে স্বীকৃতি দিয়েছেন, রাজ্য ক্লাসিকাল মিউজিক কনফারেন্সে আমায় বাংলা খেয়াল গাইতে দিয়েছেন। এরাজ্যের একজন শিল্পীও কিন্তু সংহতি জানাননি আমার সঙ্গে। যতদিন বেঁচে থাকব শ্রীমতি মমতা বন্দ্যোধ্যায়ের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব, তাঁর পক্ষে থাকব। কেউ যদি পারেন আমায় সাহায্য করুন।’

উল্লেখ্য, সংগীতশিল্পী কবীর সুমনের জন্ম ১৯৪৮ সালের ১৬ মার্চ ১৯৪৯। তিনি একাধারে গায়ক গীতিকার। পাশাপাশি কিছুদিন সাংবাদিকতা ও অভিনয়ও করেছেন। ছিলেন সংসদ সদস্যও। ২০০০ সালে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়ে তিনি তার পুরনো নাম পরিত্যাগ করেন। ১৯৯২ সালে তার তোমাকে চাই অ্যালবামের মাধ্যমে তিনি বাংলা গানে এক নতুন ধারার প্রবর্তন করেন। তার স্বরচিত গানের অ্যালবামের সংখ্যা পনেরো। দুই বাংলার তরুণদের কাছে দারুণ জন্মপ্রিয় এই শিল্পী।

আমার বার্তা/এমই

সংঘের শিল্পীদের অমানবিক কর্মের দায় নেবেন না সাধারণ শিল্পীরা

টেলিভিশন নাটকের অভিনয়শিল্পীদের সংগঠন ‘অভিনয়শিল্পী সংঘ’র সংস্কার চেয়ে এক হয়েছেন সংগঠনটির সাধারণ সদস্যরা। বর্তমান কমিটির

ট্রলকারীদের উদ্দেশ্যে যা বললেন মধুমিতা

বিগত কয়েকদিন ধরে বেশ সমালোচনার শিকার হয়েছেন টলিউড অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার। কখনো স্বাধীনতা দিবসের পোস্টে

স্বৈরাচারীর তৈরি কাচের ঘরে আর বন্দি থাকবে না শিল্পী সমাজ

সাংস্কৃতিক রাজনীতির মাধ্যমে শিল্পী সমাজ আর স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের তৈরি করা কাচের ঘরে বন্দি

রাধা হয়ে তোপের মুখে তামান্না ভাটিয়া

ভারতের দক্ষিণী নায়িকা তামান্না ভাটিয়ার বিরুদ্ধে রাধাকৃষ্ণের প্রেমে বিকৃতি প্রদর্শনে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেয়ার অভিযোগ
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

তারাবো বিএনপির সমাবেশে শত শত নেতাকর্মী নিয়ে যুবদল নেতা আফজাল কবির ও আরিফ

কোনাবাড়ীতে ছাত্রকে গুলি করে হত্যা মামলায় কনস্টেবল গ্রেপ্তার

হাসিনাকে নিয়ে ইউনূসের সাক্ষাৎকার ভালোভাবে নেয়নি ভারত

রূপগঞ্জে সন্ত্রাস চাঁদাবাজি নৈরাজ্য ঠেকাতে বিএনপির সমাবেশ

হোমনায় মা-ছেলেসহ তিন জনকে হত্যা করেন সুমন

নিম্ন আদালত মনিটরিংয়ের দায়িত্বে হাইকোর্টের ১৩ বিচারপতি

গোপালগঞ্জের আ.লীগ নেতা ভারতে গ্রেপ্তার

রূপালী ব্যাংকের রাজশাহী বিভাগীয় ব্যবসায়িক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

এখনো কাজে না ফেরা পুলিশ সদস্যদের বাদ দিয়ে নতুন নিয়োগের দাবি

দেশের প্রকৃত রিজার্ভ ২০.৫০ বিলিয়ন ডলার: গভর্নর

জবির ছাত্রী হলে ৯ ছাত্রলীগ কর্মীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

ডেঙ্গুতে আরো ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৪০৩

বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা ও নতুন দৃষ্টিকোণ

একাত্তরের মীমাংসিত বিষয় নিয়ে বিতর্কের সুযোগ নেই: রব

গজারিয়ায় অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন, হুমকির মুখে নয় গ্রাম

আরএমপির দায়িত্ব নিলেন নতুন কমিশনার আবু সুফিয়ান

বিদেশে পালানোদের ফেরাতে আইনি কাঠামো প্রতিষ্ঠার পরামর্শ

এখনও উদ্ধার হয়নি লুট হওয়া ১৮৮৫টি অস্ত্র ও ৩ লাখ গোলাবারুদ

স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, শিশুকন্যাকেও ছাড়ল না বাবা!

পৃথিবীতে নির্মিত প্রথম মসজিদ নিয়ে যা বলেছেন প্রিয়নবী সা.