পশ্চিমবঙ্গের আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের পর রাজ্যজুড়ে হুলুস্থুল কাণ্ড। বিচারের দাবিতে চলছে প্রতিবাদ। এরই মাঝে মহিলাদের নিরাপত্তায় জোর দিতে একাধিক পদক্ষেপ ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন কিছু পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন। এর মধ্যে অন্যতম- মহিলাদের রাতের শিফট থেকে অব্যাহতি দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।
এই ঘোষণার পর সরকারের সিদ্ধান্তে আরও বিরক্ত হয়েছেন সাধারণ মানুষ। প্রশ্ন তুলেছেন, যে মহিলারা রাত দখল করে পথে নেমেছেন, তাদেরকেই কি না রাতে কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা বলছে প্রশাসন?
এদিকে সরকারি এই ঘোষণার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা পোস্ট করেছেন প্রাক্তন সাংসদ ও অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। একটি পোস্টার শেয়ার করেছেন তিনি। যেখানে কিছু কথা লাল কালিতে কাটা। আর কিছু কথা রেখে দেওয়া হয়েছে। রেখে দেওয়া কথাগুললো হলো, ছেলেটি তাকে ধর্ষণ করেছে, নিজের ছেলেকে শিক্ষা দিন, আপনার ছেলেকে তাড়াতাড়ি বাড়িতে আসতে বলুন, তাহলেই নিরাপত্তা বজায় থাকবে।
ঠিক এর আগে, সে ধর্ষিতা, মেয়েকে রক্ষা করুন, আর মেয়েদের তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে বলুন এই কথাগুলো লাল কালিতে দাগ টেনে কেটে দেওয়া হয়েছে।
অর্থাৎ মিমি বলতে চেয়েছেন, মেয়েটিকে ধর্ষিতা বলার আগে ছেলেটি যে ধর্ষণ করেছে সেটা বলা হোক। মেয়েকে সামলে রাখুন বলার পরিবর্তে ছেলেকে সঠিক শিক্ষা দিন। মেয়েকে নয়, বরং ছেলেকে বলুন তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে, তাহলেই নিরাপত্তা বজায় থাকবে। কারণ, দোষী তো পুরুষ, নারী নয়। তাই বারবার মেয়েদেরই কেন সমঝোতা করতে হবে? সেই প্রশ্নই তুলেছেন মিমি চক্রবর্তী।
মিমির এই কড়া বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন অভিনেত্রী রাইমা সেন। তিনি মিমির বার্তা নিজের ইনস্টা স্টোরিতে শেয়ার করেছেন।
প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডে শুরু থেকেই নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে সরব হয়েছেন মিমি। পথেও নেমেছেন। তার দাবি ছিল, ‘দোষীর এমন শাস্তি হোক, যেন অপর কেউ এ ধরনের অপরাধের কথা ভাবলেই মেরুদণ্ড কেঁপে ওঠে।’
এদিকে রাজ্য সরকারের মহিলাদের নাইট ডিউটি থেকে অব্য়াহতি দেওয়ার সিদ্ধান্তে সোশ্যাল মিডিয়াতেও ক্ষোভের আগুন জ্বলছে।
আমার বার্তা/এমই