চলতি বছরে রসায়নে নোবেল বিজয়ী হয়েছেন তিন বিজ্ঞানী। তাঁরা হলেন ডেভিড বেকার, ডেমিস হাসাবিস ও জন এম জাম্পার। প্রোটিনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করার কারণে তাঁদের এ বছর নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে। আজ বুধবার বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টা ৪৫ মিনিটে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়। নোবেল প্রাইজের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়।
চলতি বছর রসায়নে নোবেল পুরস্কারের অর্ধেক একা জিতেছেন ডেভিড বেকার। মূলত ‘কম্পিউটেশনাল প্রোটিন ডিজাইনে’ অবদান রাখায় তাঁকে এবারের রসায়নে নোবেলের অর্ধেক দেওয়া হচ্ছে। বাকি অর্ধেক দেওয়া হচ্ছে ডেমিস হাসাবিস ও জন এম জাম্পারকে। তাঁরা দুজন প্রোটিনের কাঠামোর বিষয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করার একটি মডেল আবিষ্কার করায় তাদের এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
ডেভিড বেকার যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলের ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের অধ্যাপক। ডেমিস হাসাবিস যুক্তরাজ্যের বাসিন্দা। তিনি গুগলের ডিপমাইন্ড প্রজেক্টে কাজ করছেন এবং জন জাম্পারও হাসাবিসের মতোই গুগলের ডিপমাইন্ডের গবেষক।
নোবেল পুরস্কারের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, এবারের রসায়নে নোবেল পুরস্কার মূলত জীবনের মৌলিত উপাদান প্রোটিন সম্পর্কিত গবেষণায় মৌলিক অবদান রাখার জন্য দেওয়া হয়েছে। ডেভিড বেকার কৃত্রিম উপায়ে সম্পূর্ণ নতুন ধরনের প্রোটিন তৈরির প্রায় এক অসম্ভব কীর্তি গড়তে সফল হয়েছেন। ডেমিস হাসাবিস ও জন জাম্পার এমন একটি এআই মডেল তৈরি করেছেন, যা দিয়ে যেকোনো প্রোটিনের জটিল কাঠামোর পূর্বাভাস বা ভবিষ্যদ্বাণী করা সম্ভব।
এর আগে, ২০২৩ সালে রসায়নে নোবেল পুরস্কার জেতেন মুঙ্গি জি বাভেন্দি, লুই ই ব্রুস ও অ্যালেক্সেই আই একিমভ। কোয়ান্টাম ডটের আবিষ্কার ও উন্নয়ন এবং ন্যানো ক্রিস্টাল প্রযুক্তি বা ন্যানোপার্টিক্যালের আকার ও বৈশিষ্ট্য নির্ধারণে অবদান রাখার জন্য তাঁদের নোবেল পুরস্কার ভূষিত করা হয়।
এদিকে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত চিকিৎসা ও পদার্থবিদ্যায় নোবেল দেওয়া হয়েছে। কৃত্রিম ‘নিউরাল নেটওয়ার্কের সাহায্যে মেশিন লার্নিংকে সক্ষম করে তোলার’ মৌলিক আবিষ্কারের জন্য এ বছর পদার্থে নোবেল পেয়েছেন এআই গডফাদার হিসেবে পরিচিত জিওফ্রে হিনটন এবং জন হপফিল্ড। তার আগের দিন চিকিৎসায় নোবেল জেতেন ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রাভকুন। মাইক্রো-আরএনএ আবিষ্কার এবং পোস্ট-ট্রান্সক্রিপশনাল (জিনের প্রতিলিপির পর) জিন নিয়ন্ত্রণে মাইক্রো-আরএনএর ভূমিকা আবিষ্কারের জন্য যৌথভাবে তাঁদের এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
আমার বার্তা/জেএইচ