ভারতের উত্তরপ্রদেশের মিরাটে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরের বিরুদ্ধে তার কাছের এক বন্ধুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। দেশটির পুলিশের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত কিশোরের প্রেমিকার গোপন ছবি ও ভিডিও চুরি করে তার কাছের এক বন্ধু। এরপর এসব ছবি ও ভিডিও দিয়ে ব্লাকমেইল করত। এর জেরে বন্ধুকে হত্যা করেছে সে। এরই মধ্যে পুলিশ অভিযুক্ত কিশোরকে আটক করেছে। সে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে।
মিরাটের পুলিশ সুপার আয়ুশ বিক্রম সিং বলেছেন, অভিযুক্ত কিশোর আমাদের বলেছে যে তার বন্ধুর কাছে তার প্রেমিকার নগ্ন ছবি ও ভিডিও ছিল। এসব ছবি ভুক্তভোগী কিশোর তার মোবাইল থেকে গোপনে সরিয়ে নেয় এবং তা দিয়ে বিরক্ত করতো। প্রেমিকার এসব ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হতে পারে- এমন আশঙ্কায় বন্ধুকে হত্যার পরিকল্পনা করে অভিযুক্ত কিশোর।
আয়ুশ বিক্রম সিং জানান, অভিযুক্ত কিশোর এবং ভুক্তভোগী প্রতিবেশী ছিল এবং তাদের একজন একাদশ ও আরেকজন দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ত। তারা একত্রে কোচিংয়ে ক্লাশ করত।
গত শনিবার দুইজনে তারা কোচিংয়ের ক্লাসের জন্য বের হয়। তবে এরপর আর বাড়ি ফেরেনি ভুক্তভোগী কিশোর। যখন ভুক্তভোগীর বাবা অভিযুক্ত কিশোরের কাছে জানতে চান তাদের ছেলে কোথায়- এর জবাবে কিছু জানে না বলে জানায় অভিযুক্ত কিশোর।
এরপর ভুক্তভোগীর পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করে এবং তারা তাদের ছেলের বন্ধুকে সন্দেহ করছেন বলে জানায়। জিজ্ঞাসাবাদের সময় অভিযুক্ত কিশোর পুলিশকে জানায়, তার বন্ধু একবার তার ফোনে প্রেমিকার গোপন ভিডিও দেখে। এরপর তার মোবাইল থেকে সরিয়ে নেয় এসব ছবি ও ভিডিও এবং তাদের উত্যক্ত করত। এসব ভিডিও অন্য কাউকে দিতে পারে- এমন আশঙ্কায় সে তার বন্ধুকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
আয়ুশ বিক্রম সিং আরও জানান, গত শনিবার অভিযুক্ত কিশোর তার ওই বন্ধুকে বলে যে সে তার মোবাইল বিক্রি করতে চায়। এরপর ফোন বিক্রির পর তারা প্রথমে কেএফসির এক আউটলেটে খায় এবং কিছু মদ কেনে। ফেরার পথে বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে তারা এক টিউবওয়েলের কাছে থামে। এরপর অভিযুক্ত কিশোর তার ব্যাগ থেকে হাতুড়ি বের করে এবং পিটিয়ে তার বন্ধুকে হত্যা করে।
তবে ভুক্তভোগীর মোবাইল থেকে এখন পর্যন্ত কোনো ভিডিও উদ্ধার করা যায়নি বলে বিক্রম সিং জানান। অভিযুক্তকে ইতোমধ্যে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ স্ক্যান করা হচ্ছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
আমার বার্তা/জেএইচ