ই-পেপার মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২

নতুন আমেরিকান সাম্রাজ্যবাদে প্রবেশ করতে চলেছে বিশ্ব

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
২১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬:৫৩
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত মার্কিন সেনাদের প্রতি সম্মান জানাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সদস্যরা : ছবি- এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প। দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পরপরই ‘যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে’ বেশকিছু নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন তিনি।

এদিকে, শপথ নেওয়ার আগেই ট্রাম্প তার প্রতিবেশী দেশ কানাডাকেও যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হয়ে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। এমনকি সপ্তাহ দুয়েক আগে কানাডাকে মার্কিন ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করে নতুন একটি মানচিত্রও প্রকাশ করেন ট্রাম্প। এদিকে, ডেনমার্কের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গ্রিনল্যান্ডকে পর্যন্ত কিনে নিতে চেয়েছেন তিনি। আবার মেক্সিকো উপসাগরের নাম বদলে ‘আমেরিকান উপসাগর’ করারও প্রস্তাব দিয়েছেন ট্রাম্প।

এমন পরিস্থিতিতে ধারণা করা হচ্ছে, নতুন আমেরিকান সাম্রাজ্যবাদের যুগে প্রবেশ করতে চলছে বিশ্ব। বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছে প্রভাবশালী আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিস্ট।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ট্রাম্পের দ্বিতীয় অভিষেক ভাষণ যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহ্যগত রাজনৈতিক বিভাজন দূর করার বদলে পুরোনো ঐতিহ্যগুলোকে তুলে ধরেছে। তার ভাষণে স্পষ্টভাবে প্রকাশ পেয়েছে যে, নিজের দেশের স্বার্থে যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন সদ্য শপথ নেওয়া এই প্রেসিডেন্ট। ডোনাল্ড ট্রাম্প ১০০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যিনি নতুন ভূখণ্ড অধিগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন; এমনকি মঙ্গলগ্রহেও।

ইকোনমিস্টের মতে তিনিই একমাত্র প্রেসিডেন্ট, যিনি তার বক্তৃতায় উল্লেখ করেন, উইলিয়াম ম্যাককিনলে একজন ‘মহান প্রেসিডেন্ট’ হিসেবে উল্লেখ করেন। ম্যাককিনলে ১৮৯৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ২৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন ও পানামা খাল নির্মাণে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।

ট্রাম্প পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিশেষভাবে আগ্রহী। তিনি মনে করেন, খালটির মালিকানা নিয়ে স্বাক্ষরিত চুক্তি লঙ্ঘন করা হয়েছে ও এটি বর্তমানে চীনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সম্প্রতি ট্রাম্পের ভাষণে সবচেয়ে চমকপ্রদ মন্তব্য ছিল, আমরা পানামা খাল পুনরায় দখল করতে যাচ্ছি। তিনি অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত রক্ষায় কিছুই করা হচ্ছে না, অথচ বিদেশি সীমান্ত রক্ষায় অগণিত অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে।

পানামা খালের চুক্তি ১৯৭৭ সালে প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের সময় সম্পাদিত হয়। তখন থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের অনেক রক্ষণশীল নেতা ও সাধারণ নাগরিক এই চুক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে বিবেচনা করে আসছে। এমন পরিস্থিতিতে খালটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ট্রাম্পের বক্তব্য ও সিদ্ধান্ত আরও রক্ষণশীল হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তবে, ট্রাম্প শুধু পানামা খালের পুনরুদ্ধারের কথাই বলেননি। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ড সম্প্রসারণের প্রসঙ্গও তুলেছেন। ২৫তম প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম ম্যাককিনলের আমলেই যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ডে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ঘটে। হাওয়াই, কিউবা ও ফিলিপাইনের মতো অঞ্চলেও যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য ব্যাপকভাবে বাড়ে। এমনকি ভবিষ্যতে মঙ্গলগ্রহেও যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা স্থাপন করা হতে পারে বলে মন্তব্য করেন ট্রাম্প। মঙ্গলে মার্কিন পতাকা স্থাপনকে তিনি তার দেশের ‘স্পষ্ট ভবিতব্য’ বলে উল্লেখ করেন।

তবে বর্তমান সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতা, মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিতিশীলতা ও ইউক্রেন যুদ্ধ। কিন্তু ট্রাম্প তার ভাষণে চীনের প্রসঙ্গ তুলেছেন কেবল পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে। মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে তিনি কেবল গাজায় জিম্মি থাকা ব্যক্তিদের মুক্তির বিষয়ে কথা বলেন। আর তার অভিষেক ভাষণে ইউক্রেন প্রসঙ্গ একেবারেই উপেক্ষিত ছিল।

শুল্কের বিষয়েও ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি ম্যাককিনলের সঙ্গে মিলে যায়। ম্যাককিনলে ১৮৯৭ সালে ডিংলে অ্যাক্ট স্বাক্ষর করেন, যা শুল্ক ৫০ শতাংশের ওপরে নিয়ে যায়। ট্রাম্পও একইভাবে শুল্ককে ব্যবহার করে বিদেশি অর্থ থেকে জাতীয় কোষাগার সমৃদ্ধ করার কথা বলেন।

ম্যাককিনলের মতোই ট্রাম্প বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখছেন। তার অভিষেক অনুষ্ঠানে জেফ বেজোস, ইলন মাস্ক ও মার্ক জাকারবার্গের মতো বিলিয়নিয়ারদের জন্য বিশেষ আসনের ব্যবস্থা ছিল। ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র নতুন একটি ‘স্বর্ণযুগে’ প্রবেশ করতে যাচ্ছে।। তবে তার কার্যক্রমের দিকে তাকালে মনে হয়, তিনি ‘গিল্ডেড যুগে’ ফিরে যেতে চান।

১৮৭০ দশকের শেষ থেকে ১৮৯০ দশকের শেষের সময়কালকে যুক্তরাষ্ট্রের গিল্ডেড যুগ হিসেবে বর্ণনা করা হয়। যদিও অনেকের মতে এটি এমন একটি যুগ, যার কোনো নির্দিষ্ট শুরু বা শেষ নেই। ওই যুগে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী পরিবারগুলো ব্যাপক হারে সম্পদ সঞ্চয় করেছিল। শিল্প বিপ্লব থেকে লাভ, রেলপথ নির্মাণ, নগরায়ণ, ওয়াল স্ট্রিট ও ব্যাংকিং শিল্পের উত্থান, গৃহযুদ্ধ ও পুনর্গঠন থেকে আর্থিক লাভ, ইস্পাত উৎপাদন ও নতুন নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কারে সমৃদ্ধ হয়েছিল মার্কিন অর্থনীতি। -- সূত্র: দ্য ইকোনমিস্ট

আমার বার্তা/এমই

দিল্লির লাল কেল্লার মেট্রোস্টেশনের কাছে বিস্ফোরণে নিহত ৮

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির ঐতিহাসিক লাল কেল্লার কাছে ভয়াবহ গাড়িবোমা বিস্ফোরণে অন্তত ৮ জন নিহত হয়েছেন।

ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের আগে সৌদির বার্তা: ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা চাই

চলতি মাসে ওয়াশিংটন সফরে যাচ্ছেন সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস)। সফরকালে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড

ইন্দোনেশিয়ার মুদ্রার পুনঃনামকরন প্রক্রিয়া আবার শুরু

সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, অর্থনৈতিক দক্ষতা বৃদ্ধি, স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং মুদ্রার বিশ্বাসযোগ্যতা

‘আমি নিঃশ্বাস নিতে চাই’— দূষণে মৃত্যুফাঁদে পরিণত দিল্লির বাতাস

বিষাক্ত ধোঁয়ায় ঢেকে গেছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি। শ্বাসরুদ্ধকর এই দূষণের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে এসেছেন সাধারণ
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দিল্লির লাল কেল্লার মেট্রোস্টেশনের কাছে বিস্ফোরণে নিহত ৮

পল্টনে মঙ্গলবার হাজার নয়, লক্ষ মানুষের জমায়েত হবে: ব্রিফিংয়ে ৮ দল

ক্ষতিগ্রস্ত পাঁচ ব্যাংকের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ বার্তা

প্রশিক্ষিত তরুণরাই হবে উন্নত বাংলাদেশের ভিত্তি: আনসার মহাপরিচালক

গুলি করার আগে আবু সাঈদকে বেদম পেটান পুলিশ কর্মকর্তারা

সরকারি মেডিকেল কলেজে ৩৫৫ আসন কমলো

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের প্রজ্ঞাপন কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোট নিয়ে দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেবে সরকার

আওয়ামী লীগ রাজপথে নামলেই তাদের ধোলাই করা হবে: রাশেদ খাঁন

চৌদ্দগ্রামে ট্রাক-সিএনজি-অটোর ত্রিমুখি সংঘর্ষে ৩ জন নিহত

মুক্তিযুদ্ধে বাবার ভূমিকা পরিস্কার করলেন মির্জা ফখরুল

বাংলাদেশের স্থিতিশীল উন্নয়নে অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক নীতি সহায়তা জরুরি

সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট টিমের সভা

সিরাজগঞ্জে হত্যা মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৫৪৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

কাজের সময় মোবাইল ব্যবহার নিয়ে পুলিশ সদস্যদেরকে কড়া সতর্কবার্তা

রাজধানীর সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা জোরদার

জামায়াত দেশকে অস্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে: মির্জা ফখরুল

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বিসিসিটি ফান্ডের আওতায় ১৮ প্রকল্প অনুমোদন

বেনজীরের ১১ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদে চার্জশিট অনুমোদন দুদকের

মার্কা বেছে নয়, যে দলকে বিশ্বাস করেন তাকেই ভোট দিন: মান্না