মাঝ আকাশে বিমানের ইমার্জেন্সি দরজা খোলার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে এক যাত্রীর বিরুদ্ধে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের খবর অনুযায়ী, দু’বার ওই যাত্রী দরজা খোলার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। কুয়ালালামপুর থেকে সিডনিগামী এয়ার এশিয়ার ফ্লাইটে এই ঘটনাটি ঘটে।
অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেল পুলিশ (এএফপি) জানিয়েছে, ৪৬ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি উড়োজাহাজের এক কর্মীর সঙ্গে অশালীন ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ আছে। এই অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জর্ডনের বাসিন্দা শাদি তাইসের আয়েদ আলসায়েদেহকে।
এএফপি জানিয়েছে, আলসায়েদেহের বিরুদ্ধে উড়োজাহাজের নিরাপত্তা বিপন্ন করার জন্য দুটি পৃথক অভিযোগ এবং কেবিন ক্রুদের ওপর হামলার জন্য একটি অভিযোগ আনা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেল পুলিশের ভারপ্রাপ্ত সুপারিনটেনডেন্ট ডেভিনা কোপেলিন বলেছেন, ‘এই ব্যক্তির কর্মকাণ্ডের পরিণতি মারাত্মক হতে পারত। যাত্রী ও উড়োজাহাজ কর্মীদের পক্ষে ফ্লাইটে এই ধরনের অবাধ্য, হিংসাত্মক বা বিপজ্জনক আচরণ সহ্য করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। অপরাধমূলক আচরণে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এএফপি দ্বিধা করবে না, বিশেষ করে যেখানে এই আচরণ যাত্রী, ক্রু বা উড়োজাহাজের নিরাপত্তাকে বিপন্ন করার সম্ভাবনা তৈরি করে।’
এয়ার এশিয়ার ফ্লাইট বিমান সংস্থাটি একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছে, তাদের পেশাদার প্রশিক্ষিত কেবিন ক্রুরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এবং বিমানে থাকা সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। কোনো সময়েই অতিথি বা ক্রুদের নিরাপত্তার সঙ্গে আপস করা হয়নি। যেকোনো ধরনের অনুপযুক্ত আচরণের জন্য এয়ার এশিয়ার শূন্য-সহনশীলতা নীতি নিয়ে চলে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
আলসায়েদেহের আইনজীবী যুক্তি দিয়েছেন, তার মক্কেল জর্ডান সরকারের জন্য পারমাণবিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কাজ করেন এবং তার পূর্বে কোনো অপরাধমূলক ইতিহাস ছিল না। উড়োজাহাজে ওঠার আগে তিনি ঘুমের ওষুধ খেয়েছিলেন। মদ্যপানও করেছিলেন। তাই ফ্লাইটে কী হয়েছে, তা তার মনে নেই। তবে অভিযুক্তকে জামিন দেননি আদালত। তাকে বুধবার আদালতে তোলা হবে।
আমার বার্তা/এমই