
ব্রিটিশ রাজপরিবারে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। রাজা তৃতীয় চার্লস তার ভাই প্রিন্স অ্যান্ড্রুর সব রাজকীয় উপাধি ও সম্মান বাতিল করেছেন। পাশাপাশি উইন্ডসরের রয়্যাল লজ থেকে তাকে সরে যেতে বলা হয়েছে।
শুক্রবার (৩০ নভেম্বর) বাকিংহাম প্যালেসের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এখন থেকে অ্যান্ড্রু ‘অ্যান্ড্রু মাউন্টব্যাটেন উইন্ডসর’ নামে পরিচিত হবেন। রাজা চার্লসের এই সিদ্ধান্তে প্রিন্স অব ওয়েলসেরও সমর্থন রয়েছে বলে জানা গেছে।
দীর্ঘদিন ধরে প্রয়াত মার্কিন ব্যবসায়ী ও দোষী সাব্যস্ত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে অ্যান্ড্রুর ঘনিষ্ঠতা নিয়ে বিতর্ক চলছিল। সেই সঙ্গে এপস্টেইনের সহযোগী ভার্জিনিয়া জিউফ্রের করা যৌন নিপীড়নের অভিযোগ রাজপরিবারের ভাবমূর্তিতে বড় আঘাত হানে।
যদিও অ্যান্ড্রু অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং আদালতের বাইরে প্রায় ১২ মিলিয়ন পাউন্ডে বিষয়টি মীমাংসা করেন, কিন্তু বিতর্ক থামেনি।
‘ডিউক অব ইয়র্ক’ আর নয়
রাজকীয় ঘোষণায় বলা হয়েছে, অ্যান্ড্রু আর ‘প্রিন্স’, ‘ডিউক অব ইয়র্ক’ বা ‘হিজ রয়্যাল হাইনেস’ নামে পরিচিত হবেন না। এছাড়া ‘অর্ডার অব দ্য গার্টার’ ও ‘রয়্যাল ভিক্টোরিয়ান অর্ডার’-এর মতো সম্মাননাও বাতিল করা হয়েছে।
রাজা চার্লস ব্যক্তিগত তহবিল থেকে অ্যান্ড্রুর জন্য নরফোকের স্যান্ড্রিংহাম এস্টেটে নতুন থাকার ব্যবস্থা করছেন।
ভুক্তভোগীদের পরিবারের প্রতিক্রিয়া
ভার্জিনিয়া জিউফ্রের পরিবার এক বিবৃতিতে জানায়, ‘আজ একজন সাধারণ নারী সত্য ও সাহসের মাধ্যমে এক ব্রিটিশ রাজপুত্রকে জবাবদিহির মুখে দাঁড় করিয়েছেন।’
ব্রিটিশ নেতারা রাজার সিদ্ধান্তকে ‘সাহসী ও সময়োপযোগী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে রাজা চার্লস স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন—রাজপরিবারের মর্যাদা রক্ষায় কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়।
আমার বার্তা/এল/এমই

