
চলতি ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের বিভিন্ন এলাকা থেকে মোট ২ হাজার ৫৫৬ জন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভার অধিবেশনে এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রায়।
অধিবেশনে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মিয়ানমার, নেপাল এবং ভুটান— এই পাঁচ দেশের সীমান্ত থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন মোট ৩ হাজার ১২০ জন। এদের মধ্যে বাংলাদেশি গ্রেপ্তারের সংখ্যা সর্বোচ্চ।
গ্রেপ্তার অপ্রবেশকারীদের হিসেবে বাংলাদেশের পরেই আছে মিয়ানমার। চলতি বছর জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন ৪৩৭ জন। এছাড়া অনুপ্রবেশের অভিযোগে গত জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তানের সীমান্ত থেকে ৪৯ জন এবং ভারত-নেপাল-ভুটান সীমান্ত থেকে ৭৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
লোকসভা অধিবেশনে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রায় জানান, গত ২০১৪ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে ভারতে গ্রেপ্তার অনুপ্রবেশাকারীদের মধ্যেও শীর্ষে আছেন বাংলাদেশিরা। তিনি বলেন, এই দশ বছরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন ১৮ হাজার ৮৫১ জন বাংলাদেশি।
এছাড়া এই সময়সীমায় ভারত মিয়ানমার সীমান্তে ১,১৬৫ জন, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ৫৫৬ জন এবং ভারত-নেপাল-ভুটান সীমান্তে ২৩৪ জনকে গ্রেপ্তার/আটক করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
প্রসঙ্গত বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার, চীন— এই ৬ দেশের সঙ্গে স্থলসীমান্ত আছে চীনের। এই স্থলসীমান্তের সম্মিলিত দৈর্ঘ্য ১৫ হাজার ১০৬ দশমিক ৭ বর্গকিলোমিটার।
এই ছয় দেশের মধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে সবচেয়ে সীমান্তের দৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি— ৪ হাজার ৯৬ দশমিক ৯০ কিলোমিটার।
সূত্র : পিটিআই
আমার বার্তা/জেএইচ

