ই-পেপার শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩২

কোটা নিয়ে আপিল বিভাগের শুনানি রোববার

অনলাইন ডেস্ক:
১৮ জুলাই ২০২৪, ১৯:২২
আপডেট  : ১৮ জুলাই ২০২৪, ১৯:৪৫

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের শুনানি আগামী রোববার (২১ জুলাই) অনুষ্ঠিত হবে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যায় বিশেষ চেম্বার আদালত এই আদেশ দেন।

এর আগে দুপুরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘কোটা সংস্কারে আমরা নীতিগতভাবে ঐকমত্য পোষণ করি। যেকোনো সময় এ নিয়ে আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি আছি।’

পরে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘কোটা বাতিল চেয়ে লিভ টু আপিল দ্রুত শুনানি করতে সরকারের পক্ষ থেকে আমাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমরা রোববার (২১ জুলাই) সকালেই আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল দ্রুত শুনানির জন্য মেনশন করব। আশা করছি, জনগুরুত্ব বিবেচনায় আদালত আমাদের আবেদন গ্রহণ করবেন। শুনানিতে আমরা হাইকোর্টের রায় বাতিল চাইব।’

এর আগে গত ১৪ জুলাই প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি প্রকাশ করা হয়েছে।

বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ ২৭ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়টি প্রকাশ করেন।

রায়ে বলা হয়েছে, ২০১২ সালে করা এক রিটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের দেওয়া রায় ও আদেশ, ২০১৩ সালের লিভ টু আপিলের প্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের তা বহাল ও সংশোধিত আদেশ এবং ২০১১ সালের ১৬ জানুয়ারির অফিস আদেশের (মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনির কোটা) আলোকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বা নাতি-নাতনিদের জন্য কোটা পুনর্বহাল করতে সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হলো। একই সঙ্গে জেলা, নারী, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, উপজাতি-ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য কোটাসহ, যদি অন্যান্য থাকে, কোটা বজায় রাখতে নির্দেশ দেওয়া হলো। এ বিষয়ে যত দ্রুত সম্ভব, আদেশ পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে পরিপত্র জারি করতে নির্দেশ দেওয়া হলো।

রায়ে হাইকোর্ট বলেছেন, প্রয়োজনে উল্লিখিত শ্রেণির ক্ষেত্রে কোটা পরিবর্তন ও হার কমানো বা বাড়ানোর বিষয়ে এ রায় বিবাদীদের জন্য কোনো বাধা তৈরি করবে না। যেকোনো পাবলিক পরীক্ষায় কোটা পূরণ না হলে সাধারণ মেধাতালিকা থেকে শূন্য পদ পূরণ করায় সরকারের স্বাধীনতা রয়েছে।

২৭ পৃষ্ঠার রায়ে রিট আবেদনকারী পক্ষের যুক্তি, ইতিহাস পর্যালোচনা তুলে ধরে বলা হয়েছে, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর বিপুল সংখ্যক মেধাবী ও যোগ্য মুক্তিযোদ্ধাদের দৃশ্যপটের আড়ালে ঠেলে দেওয়া হয়। এমনকি মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষ অবদান রাখা মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের সন্তানদের একটি অংশ যোগ্য-মেধাবী হওয়ার পরও প্রজাতন্ত্রের পরিষেবাগুলোতে কর্মসংস্থানের সুযোগ পায়নি।

রিটকারী পক্ষের এ যুক্তিতে বিবাদীদের কোনো বিরোধিতা ছিল না উল্লেখ করে রায়ে আরও বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের জাতির গর্ব। সুতরাং আমরা মনে করি যে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ২১ বছর ধরে মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের সন্তান ও নাতি-নাতনিরা সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন; যা দেশের নাগরিকদের মধ্যে তাদের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া অংশে পরিণত করেছে।

সেখানে আরও বলা হয়, এ কথা ঠিক যে, দেশের কিছু জেলা-উপজেলা বেশি উন্নত এবং এসব জেলা-উপজেলার নাগরিকরা বেশি সুবিধা ভোগ করেন। নারী, প্রতিবন্ধী, উপজাতি, ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর মানুষরা এখানও অনগ্রসর অংশ। মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের সন্তান ও নাতি-নাতনিরাও এই অনগ্রসর অংশে বিবেচনায় আসতে পারে। যদিও তাদের অনগ্রসর হিসেবে বিবেচনায় (২০১৮ সালের কোটা বাতিলের পরিপত্রে) নেওয়া হয়নি। তাই সরকারের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনগ্রসর অংশের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারেন বিবাদীরা।

হাইকোর্ট ২০১৩ সালের আপিল বিভাগের রায় তুলে ধরে রায়ে বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা সুরক্ষিত ছিল। যেহেতু আপিল বিভাগ ইতোমধ্যে (২০১৩ সালে দেওয়া রায়ে) বিষয়টি নিষ্পত্তি করেছেন। সংবিধানের ১১১ ও ১১২ অনুচ্ছেদ অনুসারে আপিল বিভাগের সেই সিদ্ধান্ত হাইকোর্টসহ রাষ্ট্রযন্ত্রের সব কর্তৃপক্ষের জন্য বাধ্যতামূলক এবং তা না মানা সংবিধানের লঙ্ঘন।

রায় প্রকাশের পর সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. সাইফুজ্জামান বলেন, আপিল বিভাগ কোটার বিষয়ে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আদেশ দিয়েছেন। আগামী ৭ আগস্ট শুনানির দিন রেখেছেন। ফলে আপাতত হাইকোর্টের রায় কার্যকর হবে না।

আমার বার্তা/এমই

খালেদা জিয়ার নাইকো দুর্নীতি মামলার রায় ১৯ ফেব্রুয়ারি

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে করা নাইকো দুর্নীতি মামলায় রায় ঘোষণার জন্য আগামী ১৯

দুবাই সামিটে বৈশ্বিক সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরলেন প্রধান বিচারপতি

দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত গ্লোবাল গভর্মেন্ট সামিটে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ দায়িত্বশীলতার সঙ্গে আধুনিক

প্রাথমিকের ৩য় ধাপে উত্তীর্ণদের নিয়োগ বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ

জাতিসংঘের প্রতিবেদন অকাট্য দলিল হিসেবে ব্যবহার করা যাবে

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের (ওএইচসিএইচআর) তথ্যানুসন্ধান
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সাবেক এমপি ইয়াহইয়াসহ ৫ জনকে আটক করে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা

মেধাবী ছাত্রনেতা থেকে জননেতা ফখরউদ্দিন আহমেদ বাচ্চু

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হলেন মুক্তার

আয়নাঘরে বিএনপি নেতা মাজেদকে অমানুষিক নির্যাতন, গুম কমিশনে অভিযোগ

রাজধানীর গুলশানে দি ক্যাপিটাল রিক্রিয়েশন ক্লাবে মিউজিক নাইট অনুষ্ঠিত

ন্যাশনাল প্লাজা সমবায় সমিতির সভাপতি কে অপহরণ!

সরাইলে সাংবাদিকদের সম্প্রীতি সভা অনুষ্ঠিত

বিএনপির ছাত্রনেতা শিপু দেশে ফিরলেন

মাগুরাতে অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানে অস্ত্র সহ একজন আটক

ইন্দুরকানীতে যুবককে জুলাই ২৪ নামে দোকানঘর উপহার

নাসিরনগরে তারুণ্যের উৎসব পালিত

রূপগঞ্জে অপারেশন ডেভিল হান্টে আ. লীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৩

জাতিসংঘের মানবতাবিরোধী তদন্তে সরকারের পূর্ণ সহযোগিতা প্রয়োজন

সৌদি আরব-মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের জন্য ভাড়া কমালো বিমান

চলতি বছরের ডিসেম্বরেই জাতীয় নির্বাচন হতে পারে: ড. ইউনূস

আপনার কাছ থেকে আমরা শিখি, ড. ইউনূসকে আমিরাতের মন্ত্রী

ফ্যাসিবাদের আশঙ্কা মোকাবেলার উপায় শক্তিশালী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা

জুলাই-আগস্টে বিক্ষোভ দমনে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে: জাতিসংঘ

ইজতেমায় কোনো ডেভিল এলে ধরিয়ে দিন: জিএমপি

শবে বরাত উপলক্ষে মুসলিম বিশ্বের কল্যাণ কামনা তারেক রহমানের