ই-পেপার বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২

টিফিনে বাচ্চাদের মুখে স্বাস্থ্যকর খাবার তুলে দেয়াই ছিল আমার স্বপ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক:
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫:২৪
আপডেট  : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫:৩১

আস্সালামুআলাইকুম। আমি নার্গিস শামীমা। কাজ করছি হোম মেড ফুড নিয়ে, আমার পেজ রুনিস কিচেন। কাজ করছি উত্তরা থেকে।

আমার অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে যায়। পর পর দুই বাচ্চার মা হয়ে যাই। এর মাঝেই পড়ালিখা চালিয়ে মাস্টার্স পাস করেছি। এর পর স্বামী বললো বাচ্চা আর সংসার হলো আমার সবচেয়ে বড়ো চাকরি। তাই বাইরে চাকরি করা চলবে না। তাই পড়ালিখা শেষ করে সংসারে মনোযোগ দেই।

কিন্তু আমার রান্নার মধ্যে নতুনত্ব আনা একটা শখ ছিলো। তাই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে রান্নার অনেক অনেক কোর্স করতাম আর বাসায় এসে নিজের মতো করে রান্নার ফিউশন করতাম। সবাই রান্না খেয়ে প্রশংসা করতো তাতে আমি খুব খুশি হতাম। রান্নাটা আমার নেশার মতো ছিলো।কিন্তু এই নেশা প্রয়োজনে পেশা হয়ে গিয়েছিলো। চিন্তা করলাম যেহেতু অনেক কোর্স করেছি তাই খাবার নিয়ে কাজ করতে পারি। শুরু করলাম প্রথমে বাচ্চাদের স্কুলের টিফিন। কর্মজীবী মায়েরা তাদের বাচ্চাদের হোমমেড টিফিন দিতে পারেনা। তাই আমার বাচ্চারা যখন আমার হাতের টিফিন নিয়ে যেতো অন্য বাচ্চারা খুব পছন্দ করে খেত। তাই চিন্তা ছিলো ওদের মুখেও আমার স্বাস্থ্যকর খাবার তুলে দেয়া। শুরু হয়ে গেলো আমার পেশা।

তারপর শুরু করলাম হোম মেড ফুড সাপ্লাই। হোম মেড বাংলা, চাইনিস, থাই, ইন্ডিয়ান, সাউথ ইন্ডিয়ান, তুর্কিস, এরাবিয়ান,বেকিং আইটেম, মিস্টি, কেক, পিঠা সব অর্ডার নেয়া ও সাপ্লাই দেয়া। যেহেতু আমার এসব কোর্স করা ছিলো তাই আর কষ্ট হতো না খাবার বানাতে। নেশা থেকে পেশা হয়ে গিয়েছে একটা সময়।

শুরু করেছিলাম ২০১৯ সালের মে মাস থেকে ছোট পরিসরে হোম মেড ফুডের ব্যবসা।প্রথমে নিকট আত্মীয় ও প্রতিবেশি ক্রেতা হয়েছিল। কিন্তু কিছু মানুষের কথা বুকে আঘাত আসলেও সহ্য করে নিজের কাজ করে গেছি মনোযোগ দিয়ে।অনেক কাছের মানুষ বলতো আমি অনেক পড়ালিখা করে এখন বাবুর্চি হয়েছি। যে যাই বলুক আমাকে কেউ এসে হেল্প করবেনা তাই ওদের কথায় কান না দিয়ে নিজে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা ছিলো। ধীরে ধীরে প্রোফাইলের মাধ্যমে ক্রেতা বেড়ে চলছে। এখন আমি বাসার বাইরে একটা ব্যবসার আলাদা জায়গা করে নিয়েছি। ক্রেতার চাহিদা মোতাবেক খাবার দিয়ে প্রশংসসিত হই।আমি এখন আত্মনির্ভশীল। আমি আমার পরিচয়ে চলি এখন তাতে মনে অনেক শান্তি লাগে।আলহামদুলিল্লাহ আমি এখন একজন সফল উদ্যোক্তা।

আমি বেশ কিছু রান্না প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছি যেটা আমার জন্য অনেক বিশাল প্রাপ্তি। একের পর এক বিজয় প্রাপ্তির ঝুলি বেড়েছে আলহামদুলিল্লাহ।

ভবিষ্যতে আমি মনে করি রুনিস কিচেন একটা বড়ো ইন্ডাস্ট্রি হবে। সেখানে আমি অসহায় নারীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবো সেই চিন্তা মাথায় রেখেছি। যেনো অসহায় নারীদের পাশে দাঁড়াতে পারি।আল্লাহ যেনো আমার ইচ্ছা পূরণ করেন।

আমার বার্তা/এমই

সাংবাদিকদের নৈতিকতা প্রসারে দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা, দক্ষ, যুগোপযোগী ও নৈতিক সাংবাদিকতার প্রসারে হয়ে গেল দিনব্যাপী কর্মশালা। ওয়াজদা,

শিল্পকলা ও সংস্কৃতি উপভোগ স্বাস্থ্য ও সুস্থতার জন্য ভালো: গবেষণা

স্মরণীয় নাটক, চলচ্চিত্র, কনসার্ট বা শিল্প প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণের যে আলোড়ন অনুভূত হয়, তা অনেকের কাছেই

রাতে রুম হিটার চালিয়ে ঘুমান শরীরের যেসব ক্ষতি হতে পারে

শীতের সময় বাসাবাড়িতে সবচেয়ে বেশি যে গ্যাজেটটি কাজে লাগে সেটি হচ্ছে হিটার। ঘর গরম রাখতে

শরীরে পুষ্টির ঘাটতি আছে, জানান দেয় যেসব লক্ষণ

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেকেই মেপে খাবার খান। তবে এতে অনেক সময় শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টি যায়
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাজধানীতে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে রাজমিস্ত্রির মৃত্যু

রাজধানীতে গলায় ফাঁস দিয়ে সোনালী ব্যাংকের এজিএমের আত্মহত্যা

সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের গাড়িচাপায় ভ্যানের ২ যাত্রী নিহত

ইমাম-মুয়াজ্জিনদের জন্য বেতনকাঠামো তৈরি করেছি: ধর্ম উপদেষ্টা

দুই মন্ত্রণালয়ের সচিবকে ওএসডি

নতুন বছরে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা

আতশবাজি ও পটকা ফাটানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার

নাশকতা নয় বৈদ্যুতিক লুজ কানেকশন থেকে সচিবালয়ে আগুন

সমস্যা-অনিয়ম উত্তরণে কাজ করছি, প্রয়োজন সবার সহযোগিতা

আপনাদের আম্মু ফিরে আসবে না, রিয়েলিটি মাইনে নেন: হাসনাত

বাহাত্তরের সংবিধান বাতিলের প্রয়োজন নেই: নুরুল হক নুর

বিএনপি নেতা আবু নাছের আর নেই

রিজার্ভ চুরির অর্থ দেশে ফেরাতে ফিলিপাইনের সহযোগিতা কামনা

নতুন বছরের প্রথম দিন বিশ্বের জনসংখ্যা পৌঁছাবে ৮০৯ কোটিতে

চিন্ময়সহ ইসকনের ২০২ অ্যাকাউন্টে জমা ২৩৬ কোটি টাকা

প্রস্তুতি সম্পন্ন, বুধবার বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা

মার্চ ফর ইউনিটিতে গণহত্যার বিচার চাইলেন সারজিস আলম

১৫ জানুয়ারির মধ্যে অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র পাঠ করতে হবে

ঢামেকের টয়লেটে পড়েছিল মস্তকবিহীন নবজাতকের মরদেহ

পাঁচ মাসেও বিচার না পাওয়ায় আক্ষেপ আলভির বাবার