একটি সুস্থ অন্ত্র সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যাবশ্যক। পরিষ্কার এবং ডিটক্সিফাইড অন্ত্র সর্বোত্তম হজম, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং এমনকী মন ভালো রাখতেও কাজ করে। আপনি যদি দৈনন্দিন রুটিনে ডিটক্স এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করার প্রাকৃতিক উপায় খোঁজেন তবে আপনার জন্য কিছু উপকারী পানীয় রয়েছে। নিয়মিত সেসব পানীয় পান করলে পরিবর্তনটা আপনি নিজেই টের পাবেন।
চলুন জেনে নেওয়া যাক ডিটক্স ও অন্ত্রের সুস্থতার জন্য কোন পানীয়গুলো পান করবেন-
>> উষ্ণ লেবু পানি
এক গ্লাস উষ্ণ লেবু পানি দিয়ে দিন শুরু করুন। এটি অন্ত্র পরিষ্কার করার একটি সহজ উপায়। লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা টক্সিন দূর করতে এবং হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। উষ্ণ পানি পাচনতন্ত্রকে উদ্দীপিত করে, যা শরীরের জন্য সারা দিন পুষ্টি শোষণ করা সহজ করে তোলে। একটি গবেষণায় বলা হয়েছে যে, সারা জীবন নিয়মিত লেবু খেলে তা আমাদের অন্ত্রের স্বাস্থ্য এবং বার্ধক্যকে প্রভাবিত করতে পারে।
>> গ্রিন টি
গ্রিন টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পূর্ণ এবং প্রাকৃতিক ডিটক্সিফাইং বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটিতে ক্যাটেচিন রয়েছে, যা লিভারের কার্যকারিতায় সহায়তা করে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে তা পেট ফাঁপা কমাতে এবং অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য উন্নত করতে সাহায্য করে।
>> অ্যালোভেরার রস
এর প্রশান্তিদায়ক এবং পরিষ্কার করার বৈশিষ্ট্য সবারই জানা। এটি স্বাস্থ্যকর অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করার সময় পরিপাকতন্ত্র থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। পরিমিত অ্যালোভেরার রস পান করলে তা প্রদাহ কমাতে পারে এবং অন্ত্রের গতিবিধি উন্নত হতে পারে।
>> আপেল সাইডার ভিনেগার (ACV)
এক গ্লাস পানিতে এক টেবিল চামচ আপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে খাওয়ার আগে পান করলে তা আপনার অন্ত্রের জন্য বিস্ময়কর কাজ করতে পারে। ACV-এ অ্যাসিটিক অ্যাসিড রয়েছে, যা খাবারকে ভেঙে দিতে সাহায্য করে এবং স্বাস্থ্যকর হজমে সহায়তা করে। এটি পাকস্থলীতে পিএইচ স্তরের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং এমন পরিবেশ তৈরি করে যা ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়াকে নিরুৎসাহিত করে।
>> আদা চা
আদা চা অন্ত্র সংক্রান্ত সমস্যাগুলোর জন্য একটি প্রাকৃতিক প্রতিকার। এর অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যগুলো পেট ফাঁপা, বমি বমি ভাব এবং বদহজম কমাতে পারে। আদা লালা এবং পিত্ত উৎপাদনকেও উদ্দীপিত করে, যা খাদ্য ভাঙতে এবং অন্ত্র থেকে বিষাক্ত পদার্থ অপসারণে সহায়তা করে। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, আদার রস খেলে তা সুস্থ মানুষের মধ্যে অন্ত্রের মাইক্রোবায়োটার গঠন এবং কার্যকারিতার উপর যথেষ্ট প্রভাব ফেলে।