রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতাল এলাকায় ঘঠিত ,ইতিহাসের নেক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে , ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ চরমোনাই কওমিয়া শাখার উদ্যোগে আজ বাদ আসর চরমোনাই মাদ্রাসা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে।
মিছিলের এরিয়া ছিল , চরমোনাই আলকারিম জামে মসজিদ থেকে শুরু করে বিশ্বাসের হাট পর্যন্ত। এ সময় ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ চরমোনাই কওমিয়া শাখার নেতা কর্মীদের স্লোগানে ,পুরো ক্যাম্পাস এবং রাজপথ মুখরিত হয়ে ওঠে। ছুটে আসে অনেক পদযাত্রী , ড্রাইভার ,ব্যবসায়ী এবংআমজনতা।
লন্ডন না ঢাকা? ঢাকা ঢাকা, চাঁদাবাজদের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না, বিএনপি'র কি গুণ? পাথর দিয়ে মানুষ খুন, ইত্যাদি স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো জনপথ।
সর্বশেষ বিশ্বাসের হাটে গিয়ে মিছিলটি সমাপ্ত করা হয় এবং নেতাকর্মীদের বক্তব্য শুরু হয়। এ সময় নেতাকর্মীরা ইন্টারিম গভমেন্টকে লক্ষ্য করে বলেন- আমরা অতি দ্রুত রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতাল এলাকায় , সোহাগ নামে নির্দোষ ব্যবসায়ীকে যারা ইতিহাসের বর্বরচিত পদ্ধতিতে হত্যা করেছে , তাদের এবং তাদের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি ।
বক্তারা জানান, গত জুলাই মাসের ঠিক এই সময়ে, ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের জন্য, মাদ্রাসা শিক্ষার্থী হিসেবে, সর্বপ্রথম ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ চরমোনাই কওমিয়া শাখা প্রতিবাদ করেছিল। এক বছর না যেতেই ,ঠিক পরবর্তী জুলাইয়ের এই সময়ে এসে আমাদেরকে এভাবে বর্বরচিতো হত্যার চিত্র দেখতে হবে- এটা আমরা কখনো কল্পনাও করিনি। হাজার হাজার ছাত্র জনতার রক্ত পেরিয়ে এই জাতিকে, চাঁদাবাজ, দখলদারী, ধর্ষণ ও জুলুম মুক্ত একটি স্বাধীন স্বাপ্নিক জুলাই উপহার দিয়েছি, রক্তে আঁকা জুলাইয়ের স্বাধীনতাকে যারা আজকে চাঁদাবাজ, জুলুম ,অত্যাচার, নির্যাতন ও ধর্ষণ দিয়ে কলঙ্কিত করতে চাচ্ছে , আমরা তাদেরকে আবারো রুখে দেবো ইনশাআল্লাহ।
প্রয়োজনে আর একটা জুলাইয়ের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামবো, তবুও এই নব্য জুলুমবাজ ফেসিস্টদের মোকাবেলা করেই ছাড়বো ইনশাল্লাহ। নেতাকর্মীরা আরো বলেন-সোহাগ হত্যার ঘটনা ঘটেছে ৯ ইজুলাই, অথচ আমরা জানতে পেরেছি ১১ ই জুলাই। এরকমের নির্মম বর্বর রচিত প্রকাশ্য হত্যার খবর কেন আমরা এত দেরিতে পেয়েছি? তার মানে এখানে মিডিয়া ও প্রশাসন দুটোই প্রশ্নবিদ্ধ । বিএনপি'র কেন্দ্রীয় নেতাদেরকে লক্ষ্য করে বলেন-আপনাদের নেতৃত্ব নিয়ে জনমনে প্রশ্ন জেগেছে। যারা নিজেদের কর্মী বাহিনীকে সামলাতে পারে না , তারা কি করে দেশ পরিচালনা করবে? সাথে সাথে ইন্টেরিম গভমেন্টকে বলেছে-তুরুষকে একটি ব্যর্থ সেনাঅভ্যুত্থান হয়েছিল,
অভ্যুত্থানের মাত্র দুই মাসের মাথায় ৭০ হাজার প্রশাসনকে বরখাস্ত করা হয়েছিল, অথচ আপনি নয় মাসে নয় জন প্রশাসনকে বরখাস্ত করেছেন বলে আমাদের জানা নেই সুতরাং আপনি প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করুন অন্যথায় বাংলাদেশের মানুষ আবারও বিপ্লবের দিকে এগোতে থাকবে , প্রয়োজনে আরও রক্ত ঝড়াবে। তবুও এই বাংলাদেশকে চাঁদাবাজমুক্ত করে ছাড়বে ।