
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) লিবিয়ার চিফ অব মিশন নিকোলেটা জিওর্দানোর সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশার।
লিবিয়ার বেনগাজীসহ পূর্বাঞ্চল থেকে স্বেচ্ছায় দেশে গমনের জন্য নিবন্ধিত বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ দূতাবাস নিরবচ্ছিন্ন ও সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রদূত আইওএম-এর চিফ অব মিশনের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠকে রাষ্ট্রদূত লিবিয়ার সোনাগাজীসহ পূর্বাঞ্চল থেকে আইওএম-এর মাধ্যমে স্বেচ্ছায় দেশে গমনের জন্য নিবন্ধিত বাংলাদেশি অভিবাসীদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের বিষয়টি অগ্রাধিকারভিত্তিতে বিবেচনার জন্য অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, ত্রিপলী ও মিসরাতা থেকে নিবন্ধিত বাংলাদেশি নাগরিকদের লিবিয়া সরকার ও আইওএম-এর সহযোগিতায় এরইমধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যককে সফলভাবে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে। তবে, বেনগাজীসহ পূর্বাঞ্চল থেকে দেশে ফেরার অপেক্ষায় থাকা অনেক বাংলাদেশি অভিবাসী দীর্ঘদিন ধরে অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন এবং নিয়মিতভাবে দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় সহায়তা কামনা করছেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে তিনি তাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্ব আরোপ করেন।
রাষ্ট্রদূত, লিবিয়া থেকে বিপদগ্রস্ত এবং বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রত্যাবাসনে আইওএম-এর অব্যাহত সহযোগিতার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি উল্লেখ করেন, প্রত্যাবাসন কার্যক্রম বাস্তবায়নে বাংলাদেশ দূতাবাস প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট প্রস্তুতকরণ, বহির্গমন ছাড়পত্র সংগ্রহসহ সার্বিক লজিস্টিক সহায়তা প্রদানে সক্রিয় ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত ভবিষ্যতেও বাংলাদেশি অভিবাসীদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে আইওএম-এর সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
আইওএম-এর চিফ অব মিশন বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে বিদ্যমান ঘনিষ্ঠ ও কার্যকর সহযোগিতার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, লিবিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশি অভিবাসীদের কল্যাণ ও সুরক্ষায় বাংলাদেশ দূতাবাস গুরুত্বপূর্ণ ও প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে আসছে।
তিনি লিবিয়ার পূর্বাঞ্চল থেকে নিবন্ধিত বাংলাদেশি অভিবাসীদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের বিষয়ে আইওএম-এর পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
বৈঠকে উভয় পক্ষ লিবিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশি অভিবাসীদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন, সুরক্ষা ও সামগ্রিক কল্যাণ সংক্রান্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করেন।
রাষ্ট্রদূতের বিদায়ী সাক্ষাৎ উপলক্ষে আইওএম-এর চিফ অব মিশন তার সুস্বাস্থ্য ও ভবিষ্যৎ জীবনের সার্বিক মঙ্গল কামনা করেন।
আমার বার্তা/এমই

