পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল আলম নিরব ও কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুসহ ৫০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) এসআই আলাউল হক বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। পল্টন মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন মোল্লা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার (১৭ জুলাই) রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদে গায়েবানা জানাজা শেষে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় এ মামলা করেছে পুলিশ।
মামলায় বিএনপির ৩৫ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত হিসেবে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের ৫০০ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৭ জুলাই দুপুরের দিকে বায়তুল মোকাররম মসজিদে গায়েবানা জানাজা শেষে বিএনপির ৪০০/৫০০ নেতাকর্মী পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। তারা কয়েকটি ককটেল নিক্ষেপ করে সড়কে থাকা যানবাহনে ভাঙচুর চালান। এ ঘটনায় পল্টন মডেল থানার ওসিসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন।
মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- দারুস সালাম ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম খান ওরফে জুয়েল, তুরাগ থানা বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ ভুইয়া আমান, সবুজবাগ থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিল মোহাম্মদ, বিএনপির সমর্থক নওয়াব আলী, দারুস সালাম থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শেখ মর্তুজা আলী, রূপনগর থানা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক মো. শামছুল আলম, দক্ষিণখান থানা ওয়ার্ড বিএনপির সহ-কোষাধ্যক্ষ এস এম মশিউর রহমান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন আহম্মেদ, মিরপুর থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আবুল বাশায় ভুইয়া।
এছাড়াও রয়েছেন ডা. সাখাওয়াত হোসেন, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম মানিক, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বকুল, মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক পাভেল সিকদার, মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম নয়ন, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রাজীব আহসান, মীর্জা আব্বাসের এপিএস সোহেল ও পল্টন থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. নোমান খান।
আমার বার্তা/জেএইচ