
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি আবু সাদিক কায়েম বলেছেন, গত ৫৪ বছরে বাংলাদেশে ভারতপন্থী চক্র বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র করেছে। বিশেষ করে গত ১৬ বছরে বাংলাদেশ ভারতের এক ধরনের সাপ্লাই কলোনি হয়ে ছিল। ভারত বাংলাদেশের অর্থনীতি শোষণ করেছে, সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চালিয়েছে এবং রাজনৈতিকভাবে দেশকে নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট শাসন কায়েম করতে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছে ভারত।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে সুনামগঞ্জের ছাতক শহরের ট্রাফিক পয়েন্টে ছাত্র নাগরিক সমাবেশ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডাকসু ভিপি এসব কথা বলেন।
সাদিক কায়েম বলেন, ভারতীয় আধিপত্যবাদের রাজনীতি বাংলাদেশে আর চলবে না। জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে দেশকে দিল্লির দালালদের হাত থেকে মুক্ত করা হয়েছে। ভারতীয় আধিপত্যবাদী রাজনীতিকে ছাত্রজনতা দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে। ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। দেশে আর কোনো ফ্যাসিবাদী শক্তির উত্থান হবে না। গত ১৬ বছর বাংলাদেশকে একটি কলোনি বানিয়ে রাখা হয়েছিল। সুশাসন, আইনের শাসন ও মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশের সব সম্ভাবনা নষ্ট করেছেন। দেশের মানুষকে ১৬ বছর ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করা হবে।
জুলাই বিপ্লবের কথা স্মরণ করে ডাকসু ভিপি বলেন, জুলাই বিপ্লবে দেশের তরুণ ও ছাত্ররা ফ্যাসিবাদ, অন্যায় ও মাফিয়াতন্ত্রের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছিল। এতে আমাদের প্রায় ২ হাজার ভাই শহীদ হয়েছেন, বহু মানুষ আহত হয়েছেন। তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি।
তিনি আরও বলেন, জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা একটি ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশ গড়া- যেখানে সন্ত্রাস, মাফিয়া, চাঁদাবাজি বা টেন্ডারবাজি থাকবে না। জুলাইয়ের মাধ্যমে যে নতুন প্রজন্ম তৈরি হয়েছে, তাদের ঐতিহাসিক দায়িত্ব হলো সামনে জাতীয় নির্বাচনে সঠিক নেতৃত্বকে বেছে নেওয়া- যারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করবে এবং দিল্লির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ চালিয়ে যাবে।
এদিকে ছাত্র নাগরিক সমাবেশে ডাকসু ভিপি আবু সাদিক কায়েম সুনামগঞ্জ-৫ আসন (ছাতক-দোয়ারাবাজার) থেকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সালাম আল মাদানীর পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেন। বক্তৃতার শুরুতেই তিনি তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে সবার কাছে দোয়া চান।
আমার বার্তা/এল/এমই

