আল্লাহ তায়ালা প্রতিনিয়ত আমাদের দান করে যান। অফুরন্ত দান করেন তিনি। তার ভান্ডারের শেষ হয় না কখনো। পৃথিবী জুড়ে এতো এতো মানুষ, সবাইকে তিনি দান করছেন অগণিত। আল্লাহ তায়ালার দানের বিপরীতে মানুষের উচিত তার কৃতজ্ঞতা ও শুকরিয়া আদায় করা। তিনি কৃতজ্ঞ বান্দাকে ভালোবাসেন।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আর যখন তোমাদের রব ঘোষণা দিলেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করো, তাহলে আমি অবশ্যই তোমাদের বাড়িয়ে দেব, আর যদি তোমরা অকৃতজ্ঞ হও, নিশ্চয়ই আমার আজাব বড় কঠিন।’ (সূরা ইবরাহিম, আয়াত : ৭)
আল্লাহ তায়ালা আরও বলেন, ‘...শিগগিরই আল্লাহ শোকর আদায়কারীদের প্রতিদান দেবেন।’ (সূরা আলে ইমরান, আয়াত : ১৪৪)
তবে আল্লাহর এই কৃতজ্ঞতা আদায় করতে হয় প্রসন্ন হৃদয়ে, বিনয়-নম্রতার সঙ্গে এবং আল্লাহর নির্দেশিত পন্থা অনুসরণ করে। যারা এভাবে জীবন অতিবাহিত করতে পারে তারাই আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারে। তাদের জীবন হয় সুখময়।
রাসুল (সা.) জীবনের প্রতিটি মূহূর্তে আল্লাহর দরবারে কৃতজ্ঞতা আদায় করতেন। যেমন—তিনি ঘুম থেকে উঠে বলতেন, সব প্রশংসা মহান আল্লাহর, যিনি আমাদের মৃত্যু দেওয়ার পর আবার জীবন দান করেছেন। আর তাঁর কাছেই তো আমাদের একত্র করা হবে। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩১১২)
আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশের বিভিন্ন উপায় আছে। যেমন—
১. কলব বা অন্তরের মাধ্যমে অর্থাৎ নিয়ামতদাতার নিয়ামত পেয়ে অন্তরে শুকরিয়া আদায় করা। এর পদ্ধতি হলো, আল্লাহকে ভয় করা, তাঁর অবাধ্যতার মানসিকতা না থাকা এবং তাকওয়া অবলম্বন করা।
২. ভাষার মাধ্যমে। অর্থাৎ মুখে নিয়ামতের শোকরিয়া প্রকাশ করা, গণনা করা ইত্যাদি। বুজুর্গ ব্যক্তিরা নিজের জবান দিয়ে রাতের পর রাত আল্লাহর প্রশংসা করেছেন। ফুজাইল ইবনে আয়াজ (রহ.) ও ইবনে উয়াইনা (রহ.) একবার রাতে আল্লাহর প্রশংসা করার জন্য বসেছিলেন। তাঁরা আল্লাহর প্রশংসা করতে করতে সকাল করে ফেলেন।
৩. অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মাধ্যমে। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মাধ্যমে শুকরিয়া হলো সালাত আদায় করা ও বেশি বেশি নেক আমল করা।
আমার বার্তা/জেএইচ