রাজধানীর পুরান ঢাকার মুদি দোকানদারের দুই ছেলে মিজানুর রহমান চাকলাদার ওরফে দিপু চাকলাদার (৪৯) ও হাবিবুর রহমান ওরফে অপু চাকলাদার (৫৪) সরকারের কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ফাকি দিয়ে বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগে দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে রমনা থানায় মানিলন্ডারিং এর অন্তত ২২ টি মামলা রয়েছে।তাদের বিরুদ্ধে এসব মামলা হলেও টাকার জোরে তারা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে। এই মামলায় দুই ভাই ছাড়াও অন্য আসামীরা হলেন-মো. মফিজুল ইসলাম লিটন, আব্দুল হান্নান দেওয়ান, নাঈম মৃধা, শফিকুল ইসলাম, মো. মনিরুজ্জামান, সাকিব হাসান তুহিন ওরফে রাকিব, জহুরুল ইসলাম ওরফে মুকুল, আব্দুল গোফরান, মো. সেলিম,মো রাশেদ খান, রুহুল আমিন, আরিফুর রহমান, তোফায়েল আহমেদ, মো. নিজাম উদ্দিন মামুন,আরিফুল ইসলাম, মো রাশেদুল হাসান খান, মো জাহিদুল ইসলাম, মো জসিম উদ্দিন, আব্দুল হালিম জমাদ্দার,মো এরশাদ, মো আরিফুল ইসলাম চৌধুরী, মো. সাদ্দাম হোসেন, মো মহিউদ্দিন, মো ফারুক আহমেদ, মো. কামরুল ইসলাম ভূঁইয়া, মো. ইমাম হোসেন, মো. সাদ্দাম হোসেন, মোঃ ইকবাল হোসেন, মোঃ সালাউদ্দিন টিটো, মাহবুবুর রহমান, সোহরাব হোসেন, সিরাজুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল মাসুম ও মো. সুলতান আহম্মেদ।
২০১৭-২০১৮ সালে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের সাবেক দুই কর্মকর্তার ইউজার আইডি ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৩ হাজার ৬৬১ বার ‘অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে’ লগ ইন করে অবৈধভাবে মালামাল খালাস করা হয়েছে বলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের তদন্তে উঠে আসে।
শুল্ক ফাঁকি ও চোরাকারবারে জড়িত থাকার অভিযোগে চট্টগ্রামের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মিজানুর রহমান চাকলাদার ও হাবিবুর রহমান চাকলাদারকে আসামি করে ২০১৯ সালের ১৬ জানুয়ারি ঢাকার রমনা থানায় একটি মামলা করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। পরে তাদের দুই ভাই ছাড়াও কাস্টমস কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে রমনা থানায় আরও ২২ টি কয়েকটি মামলা করা হয়।
২০১৮ সালের জুনে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে কয়েকটি কনটেইনারে পণ্য আমদানি করে ঢাকার জারা এন্টারপ্রাইজ। সন্দেহজনক পণ্য হওয়ায় সেগুলো খালাস না করতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজকে নির্দেশ দেয় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।
চার মাস পর কায়িক পরীক্ষা করতে গিয়ে শুল্ক গোয়েন্দারা দেখেন, চালানটি খালাস হয়ে গেছে। মুহিবুল ইসলাম নামে চট্টগ্রাম কাস্টমসের এক কর্মকর্তার আইডি ব্যবহার করে অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ডের মাধ্যমে চালানটি খালাস করা হয়। যদিও এ কর্মকর্তা ঘটনার তিন বছর আগেই অবসরে গেছেন।
শুধু এম আর ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল ও মেসার্স চাকলাদার সার্ভিস ছাড়াও গত দুই বছরে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের সাবেক দুই কর্মকর্তার ইউজার আইডি ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৩ হাজার ৭৭৭টি চালান অবৈধভাবে খালাস করা হয়েছে বলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের তদন্তে উঠে এসেছে।
এতে সরকার বিপুল অংকের রাজস্ব বঞ্চিত হয়েছে বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তারা। সরকারি রাজস্ব সুরক্ষা ও কাস্টমসের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখতে এ অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে তদন্ত প্রতিবেদনটি জমা দিয়েছেন তারা।
মামলার পরপরই কাকরাইল থেকে এমআর ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী মিজানুর রহমান চাকলাদারকে আটক করে পুলিশে দিয়েছিল সংস্থাটি।
অন্যদিকে,১০৫ কোটি ৯ লাখ ৯৩ হাজার ৭০ টাকা আত্মসাৎ ও সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে পণ্য খালাসের অভিযোগে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়,২০১৮ সালের বিভিন্ন সময়ে জালিয়াতি ও ১০৫ কোটি ৯ লাখ ৯৩ হাজার ৭০ টাকা শুল্ক ফাঁকির ঘটনা ঘটেছে। এসব অভিযোগের অনুসন্ধানে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। দুদকের তৎকালীন চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১ এর উপ-পরিচালক নাজমুচ্ছায়াদাত।
দায়ের করা মামলার একটিতে সরকারের ৫৬ কোটি ৬৮ লাখ ৫৩ হাজার ৯৭৫ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। এতে মেসার্স জারার এন্টারপ্রাইজের মালিক মাহবুবুর রহমান, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মেসার্স চাকলাদার সার্ভিসের মো. হাবিবুর রহমান অপু, গ্রাহক মো. আব্দুল গোফরান,হামীম গ্রুপের কম্পিউটার অপারেটর মো. জহুরুল ইসলাম, গ্রাহক আবুল কালাম, কাস্টম হাউজের প্রাক্তন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সাইফুন্নাহার জনি, প্রাক্তন রাজস্ব কর্মকর্তা হাবিবুল ইসলাম, রাজস্ব কর্মকর্তা সুলতান আহম্মদ, কম্পিউটার অপারেটর ফিরোজ আহমেদ, উচ্চমান সহকারী আব্দুল্লাহ আল মাছুম ও অফিস সহায়ক সিরাজুল ইসলামকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে জালিয়াতির মাধ্যমে ৫টি চালানে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে উচ্চ শুল্কহারযুক্ত পণ্য সিগারেট আমদানি করে তা খালাসপূর্বক সরকারের ৫৬ কোটি ৬৮ লাখ ৫৩ হাজার ৯৭৫ টাকা আত্মসাৎ করেন।
আরেক মামলায় পোশাক কারখানার বাটন ও সেফটিপিন ঘোষণা দিয়ে সিগারেট আমদানি করে ৩২ কোটি ২৭ লাখ এক হাজার ৬৪৫ টাকা রাজস্ব আত্মসাৎ করা হয়। এই মামলায় আমদানিকারক মো. সালাউদ্দিন টিটো, সিঅ্যান্ডএফ অ্যাজেন্ট মেসার্স চাকলাদার সার্ভিসের মালিক হাবিবুর রহমান চাকলাদার, আবুল কামাল, সহকারী প্রোগ্রামার কামরুল হক, রাজস্ব কর্মকর্তা সুলতান আহমদ, কম্পিউটার অপারেটর ফিরোজ আহমেদ, তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী আবদুল আল মাছুম ও অফিস সহায়ক সিরাজুল ইসলামকে আসামি করা হয়।
অপরদিকে,১৬ কোটি ১৪ লাখ ৩৭ হাজার ৭৫০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আরও একটি মামলা করা হয়েছে। এতে আসামি করা হয়েছে মিজানুর রহমান চাকলাদার, মফিজুল ইসলাম লিটন, মুভিং ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মালিক আব্দুল হান্নান দেওয়ান, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মেসার্স চাকলাদার সার্ভিসের মো. হাবিবুর রহমান অপু, আব্দুল গোফরান, হামীম গ্রুপের কম্পিউটার অপারেটর জহুল ইসলাম, কাস্টম হাউসের সহকারী প্রোগ্রামার কামরুল হক, রাজস্ব কর্মকর্তা সুলতান আহম্মদ, কম্পিউটার অপারেটর ফিরোজ আহমেদ, উচ্চমান সহকারী আব্দুল্লাহ আল মাছুম ও অফিস সহায়ক সিরাজুল ইসলামকে।
এই মামলার এজাহারে বলা হয়, দুটি পণ্য চালানে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে উচ্চ শুল্কহারযুক্ত পণ্য সিগারেট আমদানি করে তা খালাসপূর্বক সরকারের ১৬ কোটি ১৪ লাখ ৩৭ হাজার ৭৫০ টাকা আত্মসাৎ করেছেন আসামিরা।
মেসার্স চাকলাদার সার্ভিসের দুই ভাই মিজানুর রহমান চাকলাদার ও হাবিবুর রহমান চাকলাদারের ব্যাংক হিসাব জব্দ: শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সফটওয়্যারে অনুপ্রবেশ করে পণ্য খালাসের অভিযোগে মিজানুর রহমান দিপু ও হাবিবুর রহমান অপু চাকলাদার নামে দুই ব্যবসায়ীর ব্যাংক হিসাব স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম রফিকুল ইসলাম বিএফআইইউকে একটি চিঠির মাধ্যমে মিজানুর ও হাবিবুরের ব্যাংক হিসাব স্থগিত রাখার সুপারিশ করেন।
চিঠিতে বলা হয়,আমদানী কাজে ব্যবহৃত শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সফটওয়্যার ‘অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড’-এ অবৈধ অনুপ্রবেশের মাধ্যমে লক করা সন্দিগ্ধ পণ্য-কন্টেইনার আনলক করে খালাস করে আমদানিকারক, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টসহ একটি দল।
এর মধ্য দিয়ে তারা বিপুল অংকের রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে। ফলে মিজানুর, হাবিবুর ও তাদের আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব স্থগিত রাখা প্রয়োজন।মিজানুর রহমান ও হাবিবুর রহমান দুই ভাই। তাদের ঠিকানায় যথাক্রমে ৪/এ হেয়ার স্ট্রিট ওয়ারী,ঢাকা ও মুন্সিগুঞ্জের লৌহজং থানার ডহুরী এলাকার কথা উল্লেখ করেন।
ঢাকার রমনা থানায় মেসার্স চাকলাদার সার্ভিসের দুই সহোদর ভাই মিজানুর রহমান দিপু চাকলাদার ও হাবিবুর রহমান অপু চাকলাদারের বিরুদ্ধে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের তৎকালীন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফ হোসেন নিতাই চন্দ্র মন্ডল ও আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে রাজস্ব ফাঁকি ও বিদেশে অর্থ পাচারের অন্তত ২২টি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় হাবিবুর রহমান অপু চাকলাদার কে বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ এবং তার ভাই মিজানুর রহমান চাকলাদারকে কাকরাইলের এম আর ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এইসব মামলায় তারা দীর্ঘদিন কারা ভোগের পর জামিনে বেরিয়ে আবারো সেই একই কাজ শুরু করেছে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি তাদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলায় মানি লন্ডারিং এর সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন।
চোরাকারবারী থেকে যে ভাবে উত্থান মুদি ব্যবসায়ীর দুই ছেলে মিজানুর রহমান দিপু চাকলাদার ও হাবিবুর রহমান অপু চাকলাদার- পুরান ঢাকার ঠাটারী বাজারে বাবা মৃত ফজলুর রহমান চাকলাদারের ছিল একটি মুদি দোকান। সেই দোকানে বাবার সাথে বসত মিজানুর রহমান দিপু চাকলাদার ও হাবিবুর রহমান অপু চাকলাদার। সেখান থেকে তারা ইসলামপুরে গিয়ে শুল্ক ফাঁকি দেওয়া অবৈধ বন্ডের কাপড়ের ব্যবসা শুরু করে। এর পাশাপাশি অবৈধ মদ ও সিগারেট বিক্রি ও শুরু করেন তারা দুই ভাই।এরপর আস্তে আস্তে সি এন্ড এ ব্যবসার সাথে জড়িত হয় তারা।পরে তারা দুই ভাই মেসার্স চাকলাদার সার্ভিস ও এম আর ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল নামে দুটি প্রতিষ্ঠান খুলে অবৈধ সি এন্ড এফ এর আড়ালে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন অবৈধ পণ্য আমদানি শুরু করে।সরকারকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধ উপায়ে শত শত কোটি টাকার মালিক বনে যান বড় ভাই মিজানুর রহমান দিপু চাকলাদার ও ও ছোট ভাই হাবিবুর রহমান অপু চাকলাদার। বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তার হলেও দীর্ঘদিন জেল খেটে বেরিয়ে আবারো এসব অবৈধ সিন্ডিকেটের সাথে জড়িয়ে পড়েছে। তাদের দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে শুল্ক ফাঁকি এবং দুদকের বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। বর্তমানে এসব মামলা চলমান থাকলেও তাদের অবৈধ টাকার জোরে সেসব মামলা এখন ফাইলের নিচে পড়ে আছে। এছাড়া গত ৫ আগস্টের পর ছোট ভাই আওয়ামী লীগের নেতা মিজানুর রহমান অপু চাকলাদার সুত্রাপুর ধোলাইখাল নারিন্দা এলাকায় ছাত্রদের উপর গুলি চালানোর ঘটনায় তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে। বর্তমানে মিজানুর রহমান অপু চাকলাদার পলাতক থাকলেও বড় ভাই হাবিবুর রহমান দিপু চাকলাদার লৌহজং থানা বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত হওয়ায় এখন সে তার সিন্ডিকেট পরিচালনা শুরু করেছে।
অভিযোগ রয়েছে, শতভাগ রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক (গার্মেন্ট) ও বিভিন্ন ধরনের প্যাকেজিং কারখানার নামে শুল্কমুক্ত বন্ডেড ওয়্যারহাউস সুবিধায় আমদানি করা পণ্য চোরাই পথে বিক্রি করে শতকোটি টাকার মালিক বনে গেছেন বিএনপি নেতা অপু চাকলাদার ও তার ভাই আওয়ামী মাফিয়া খ্যাত দীপু চাকলাদার। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর সমন্বয়ে বিভিন্ন ধরনের কাপড় ও কাগজ খোলাবাজারে ছেড়ে শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে দিপু-অপু।৫ আগষ্টের পর দীপু চাকলাদার পলাতক। সাম্রাজ্য রক্ষায় বিএনপি’র রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করছেন অপু চাকলাদার।আওয়ামী লীগের আমলে মিজানুর রহমান দিপু চাকলাদার তার সম্রাজ্য রক্ষা করতেন সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের সাথে সখ্যতা গড়ে। এছাড়া আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতাকর্মীদের সাথেও তার সখ্যতা ছিল।৫ আগস্টের পর আত্ম গোপনে চলে যায় আওয়ামী লীগের নেতা মিজানুর রহমান দিপু চাকলাদার। এরপর তার বড় ভাই হাবিবুর রহমান অপু চাকলাদার সাবেক যুবদল নেতা হামিদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলেছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর যুবদল নেতা হামিদ আমেরিকা থেকে দেশে ফিরে আসে।বর্তমানে হামিদের সেল্টারে এই এলাকায় আবারো অপরাধ সাম্রাজ্য পরিচালনা শুরু করেছে বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান অপু চাকলাদার।
জানা গেছে,চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ও কয়েকটি স্থলবন্দর থেকে ইসলামপুর ও নয়াবাজার পর্যন্ত গড়ে ওঠা এই চোরাই পণ্যের কারবারিদের সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন লৌহজং থানা বিএনপির সদস্য সচিব অপু চাকলাদার। রাজস্ব বিভাগের বন্ড কমিশনারেট এবং শুল্ক গোয়েন্দাদের পর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এই তথ্য।
অসাধু ব্যবসায়ীরা প্রতিষ্ঠানের নামে ভুয়া চাহিদা তৈরি করে বন্ড সুবিধায় কাপড় ও কাগজ এনে চোরাকারবার চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে তাদের দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে।
সূত্রমতে,২০১৭ সালের ২০ আগষ্ট পুরান ঢাকার গুলশান আরা সিটি মার্কেটের সামনে কাভার্ড ভ্যান থেকে বিপুল পরিমাণ চোরাই পণ্য উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মাসটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সৈয়দ আবিদুল ইসলাম, মিজানুর রহমান ও খন্দকার সুরাত আলীর বিরুদ্ধে মামলা করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। মামলাটির তদন্ত করে সিআইডি। তদন্তে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে শতকোটি টাকার বেশি শুল্ক ফাঁকির তথ্য মেলে।
এর আগে ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জের মাসুদ প্যাকেজিং, মেসার্স ইসলাম অ্যাসোসিয়েটসসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভুয়া নথি তৈরি করে ডুপ্লেক্স বোর্ড কাগজ আমদানি করে চোরাকারবারির অভিযোগে মামলা করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। আদমজী ইপিজেডকেন্দ্রিক মেসার্স আঙ্কেল প্যাকেজিং লিমিটেড নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগে মামলা করা হয়। এসব মামলায় ব্যাংকের সঙ্গে আঁতাত করে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের সঙ্গে নিয়ে ভুয়া প্রতিষ্ঠান বন্ড জালিয়াতির তথ্য পায় সিআইডি। চট্টগ্রামের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মিজানুর রহমান দীপু চাকলাদার ও হাবিবুর রহমান অপু চাকলাদার নামের দুই সহোদরের শুল্ক ফাঁকি ও চোরাকারবারে জড়িত থাকার অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। ওই সময় দীপুকে গ্রেপ্তার করে শুল্ক গোয়েন্দা। পরে মামলাটি সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়। অপুর মালিকানাধীন মেসার্স চাকলাদার সার্ভিস এবং দীপুর মালিকানাধীন এমআর ট্রেডিংয়ের সঙ্গে কাস্টমস কমিশনারদের সখ্য ছিল। তাঁরা যেসব আমদানিকারকের নামে পণ্য আমদানি করেন তার বেশির ভাগই ভুয়া।
গ্রেপ্তার হওয়া মফিজুল ইসলাম লিটন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তিনি অপু-দীপুর চোরাকারবার ও শুল্ক ফাঁকি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়,আওয়ামীলীগের মাফিয়া খ্যাত দীপু চাকলাদার এখন অত্মগোপনে থাকায় অপু চাকলাদার ভাইয়ের অপরাধ সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করছেন। বিএনপি দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে বিশেষ সুবিধা নিচ্ছে অপু চাকলাদার।
৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান দিপু চাকলাদার আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় মুন্সীগঞ্জে তার অপরাধ চাঁদাবাজি সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছেন বিএনপি নেতা বড় ভাই হাবিবুর রহমান অপু চাকলাদার: মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং থানা বিএনপির এক নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এসেছে। জানা গেছে,হাইব্রিড এই নেতা বিএনপির সদস্য সচিব অপু চাকলাদার নামে পরিচিত।তিনি চাদাঁবাজি এবং দখল বাণিজ্যসহ সব কিছুই নিয়ন্ত্রণ করছেন তিনি
স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার গণঅভূত্থানে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের সকল ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। কিন্তু মুন্সিগঞ্জের লৌহজং থানা এলাকা একেবারে ভিন্ন চিত্র। গণঅভ্যুত্থানের আগে অপু চাকলাদারের আপন ভাই মাফিয়া খ্যাত মিজানুর রহমান দিপু চাকলাদার আওয়ামীলীগ সরকারের পুরো সময় জুড়ে এলাকায় চাদাঁবাজিসহ সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করতেন।
চাঁদাবাজি, সুদ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও জমি দখলবাজিসহ এমন কোন অপকর্ম নেই যে দীপু চাকলাদার করেননি। ক্ষমতার দাপটে অপকর্মের মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন শত শত কোটি টাকা।অবৈধ উপায়ে আয়ের অংশ টাকা বিদেশে পাচার করার অভিযোগ রয়েছে দীপু চাকলাদারের বিরুদ্ধে।
আওয়ামী সরকারের পতনের পর লৌহজং-এ দীপু চাকলাদারের পারিবারিক রাজত্ব কমেনি। শুধুমাত্র হাত বদল হয়ে সব ক্ষমতার দম্ভে পরিনত হয়েছে দিপুর ভাই অপু চাকলাদার। আওয়ামীলের দুঃশাসন আমলে নিয়ন্ত্রণ করতেন মিজানুর রহমান দীপু চাকলাদার। এখন ভাইয়ের সকল অপরাধ রাজ্য রক্ষার দায়িত্ব পালন করছেন বিএনপি নেতা অপু চাকলাদার। দুই ভাইয়ের নেতৃত্বে স্থানীয় তালতলা ডহুরি খালে নির্ধারিত চাদাঁর বিনিময়ে চলছে অবৈধ বাল্ক হেড।দখলবাজদের অতিতের সব আমলনামা জেনেও নীরবতা পালন করছে স্থানীয় প্রশাসন।
স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে বিগত সময়ে মিজানুর রহমান দীপু যে সব লোকের মাধ্যমে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করতেন এখন ওই লোকগুলোই পেছনে থেকে বিএনপি পন্থীদের সামনে এনেছে । আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি মিলে মিশেই গড়ে তুলেছে হাবিবুর রহমান অপু চাকলাদার সিন্ডিকেট।
জানা যায়,অপু চাকলাদারের নেতৃত্বে যারা চাদাঁবাজি সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছে তারা হচ্ছে বুলবুল, রফিক, বুলু, লিটু, লাট্টু চাকলাদার। এরা সবাই বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকার কথা বলে। চাদাঁবাজির মিশ্র সিন্ডিকেটে অন্যরা হচ্ছে বালিগাঁওয়ের রাজন মুন্সি ও সজন মুন্সি, ডহরি খালের মুখ রিপন, ওসমান, রুবেল, আনোয়ার ও রাজিব খান।সিন্ডিকেটের সদস্যরা বালিগাঁও থেকে ডহুরির পদ্মা নদীর মুখ পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে প্রত্যেক খালি বাল্কহেড থেকে নিচ্ছেন ১৫শ টাকা। আর ডহরি খালের মুখ থেকে বালিগাঁও পর্যন্ত বালুভর্তি বাল্কহেড পারাপার করে দিচ্ছেন তিন হাজার টাকা চাঁদা নিয়ে। বাল্কহেড সংশ্লিষ্টরা জানান,পদ্মা থেকে বালু নিয়ে রাজধানী ঢাকা এবং আশপাশে যাওয়ার সহজ পথ হচ্ছে তালতলা-গৌরগঞ্জ (ডহরি) খাল। এখানে প্রশাসনিকভাবে বাল্কহেড চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও চাদাঁর বিনিময়ে এটা চলে আসছে বছরের পর বছর ধরে।
স্থানীয় বিএনপির নেতারা জানায়, দখলবাজি ও চাদাঁবাজিতে অপু চাকলদারের সংশ্লিষ্টতা সামনে আসায় স্থানীয় বিএনপি’র ত্যাগী নেতাকর্মিদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বিএনপি নেতা জানান,লৌহজংয়ে চলছে একটি বিশেষ পরিবারের রাজত্ব। এরা নিজেদের স্বার্থে আওয়ামীলীগ আমলের সব মাফিয়াদের রক্ষা করে চলেছে।কারণ আওয়ামীলীগের সময় বেপরোয়া হয়ে ওঠা আওয়ামীলীগ নেতা রশিদ সিকদার, আশরাফ চেয়ারম্যান, সেলিম মোড়লসহ অধিকাংশ নেতারাই অপু চাকলাদারের পারিবারিক আত্নীয় ও পরমবন্ধু। এ সকল আওয়ামীলীগ মাফিয়াদের ব্যবসাসহ অবৈধ সকল কাজকে রক্ষার দায়িত্ব পালন করছে এখন বিএনপি নেতা অপু চাকলাদার। বিএনপির হাই কমান্ড থেকে বার বার দখল, চাদাঁবাজিসহ কোন প্রকার সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টির মতো কাজে নেতাকর্মিদের জড়িত না হওয়ার নির্দেশনা দেয়া হলেও সেদিকে কোন প্রকার ভ্রুক্ষেপ নেই অপু চাকলাদারের। এতে স্থানীয় পর্যায়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে বিএনপির জনপ্রিয়তা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রশাসনের শক্ত অবস্থানের কারণে গত ২ বছর বাল্কহেড চলাচল বন্ধছিলো। এ কারণে খালের পাড়ও ভাঙেনি। এ বছর আবার বাল্কহেড চলাচল শুরু হওয়ায় ভাঙন শুরু হয়েছে। এভাবে বাল্কহেড চলতে থাকলে পদ্মার ভাঙনে খালের দু’পাশের জনপদও বিলীন হয়ে যাবে । আতঙ্ক বিরাজ করছে ডহুরি খালের দু’তীর জুড়ে বাসিন্দাদের মধ্যে। অনুসন্ধানে জানা যায়, শুধূ লৌহজং নয়, রাজধানীর ইসলামপুরে রয়েছে মিজানুর রহমান দীপু পরিবারের বিশাল সিন্ডিকেট। ব্যাক টু ব্যাক এলসিতে কাপড় আমদানী করে খোলা বাজারে বিক্রির মাধ্যমে সরকারের শত শতকোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে নিজেরা বনে গেছেন ধনকুবের। আওয়ামী লীগের বিদায়ের পর এখন সে সাম্রাজ্য রক্ষার নেতৃত্বে সামনে চলে এসেছেন দিপু চাকলাদারের ভাই বিএনপির অপু চাকলাদার। এই অনৈতিক এবং অবৈধ কাজে তিনি থানা বিএনপির সদস্য সচিবের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদটি ব্যবহার করছেন। এতে বিএনপির ভাবমূর্তি দারুন ভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে।
সরকারের শত শত কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকি দিয়ে হাবিবুর রহমান দিপু চাকলাদার ও মিজানুর রহমান অপু চাকলাদার- মুদি ব্যবসায়ী ছেলে থেকে বনে গেছেন শত শত কোটি টাকার সম্পদ দেশের বাহিরে পাচার করেছেন কয়েকশো কোটি টাকা। সরজমিনে ঘুরে তাদের কয়েকশো কোটি টাকার ফ্লাট মার্কেট ও আলিশান বাড়ির খোঁজ পাওয়া গেছে। মিজানুর রহমান অপু চাকলাদার ও হাবিবুর রহমান দিপু চাকলাদারের গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং থানার ডহুরী গ্রামে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, অবৈধভাবে শত শত কোটি টাকার মালিক হওয়ার আগে তাদের একটি টিনশেড ঘর ছিল। এখন সেখানে সেই টিনশেড ঘরটি থাকলেও পাশে তৈরি করেছেন আলিশান ডুপ্লেক্স বাড়ি। বাড়ির সামনে করেছেন ফুলের সুন্দর বাগান।ওয়ারীর অভিজাত এলাকায় ওয়ারি কমপ্লেক্সে ২২০০ স্কয়ার ফিটের তৃতীয় তলার দুইটি প্রায় চার কোটি টাকার ফ্ল্যাট। মামলায় এই বাসার ঠিকানা দেওয়া হলে তারা ফ্লাট দুটিকে ভাড়া দিয়ে চলে যান ওয়ারী ৩ নং নবাব স্ট্রিটের শুভেচ্ছা ভিলার নয় তলায়। সেখানে ২২০০ স্কয়ার ফিটের দুটি ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাট রয়েছে যার প্রায় মূল্য ৫ কোটি টাকা। কেরানীগঞ্জের আগানগর এলাকায় চাকলাদার টাওয়ার নামে দশতলা একটি মার্কেট ও পাশেই গ্রীন টাওয়ার নামে দশ তলা আরো একটি মার্কেট রয়েছে। সদরঘাটের শরীফ মার্কেটের পাশে ১৪ তলার একটি হক মার্কেট রয়েছে। ইসলামপুরে ৩০ টি মার্কেটে শেয়ার হয়েছে তাদের দুই ভাইয়ের।পুরান ঢাকার গুলশানারা সিটির অষ্টম তলায় সাত থেকে আট হাজার স্কয়ার ফিটের একটি আলিশান রয়েছে হাবিবুর রহমান অপু চাকলাদারের এবং চায়না মার্কেটের পঞ্চম তলায় ১৬ হাজার স্কয়ার ফিটের আলিশান অফিস রয়েছে মিজানুর রহমান দিপু চাকলাদারের। বিদেশে পাচার করেছেন শত শত কোটি টাকা।এসব অফিসে বসেই দুই ভাই তাদের এসব অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করেন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান দিপু চাকলাদের মুঠোফোনে কয়েকবার ফোন দিলেও তার মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে আরেকটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়,আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে দুই ভাই প্রায়ই গভীর রাতে খান অ্যাম্বুলেন্স নামে একটি এম্বুলেন্স করে বাসায় ফেরেন তারা। উদ্দেশ্য একটাই আইনের চোখ ফাঁকি দেওয়া।
এদিকে বড় ভাই বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান অপু চাকলাদারকে এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাক্ষাতে কথা বলবেন বলে মোবাইল ফোন কেটে দেন।
আমার বার্তা/এমই