ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে সরকারি বরাদ্দে প্রায় ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত একটি সেতু। গত ৮ বছর পূর্বে সেতুটি নির্মাণ হলেও চলাচলের উপযোগী সড়ক না থাকায় সুফল পাচ্ছে না জনগণ।
সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ঘোষপাড়া এলাকায় সেতুটির অবস্থান। সরেজমিনে গেলে দেখা যায় সেতুটির পূর্ব পাশে সরকারি রেকর্ডের সড়ক থাকলেও অবৈধ দখলের ফলে পায়ে হেঁটে সেতুতে যাওয়ায় কষ্টসাধ্য এবং পশ্চিম পাশে মালিকানা জায়গা হওয়ায় চলাচলের উপযোগী সড়ক ব্যবস্থা আজও অসম্পূর্ণ। ফলে স্থানীয়দের ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও অর্থায়নে নির্মিত বাঁশের সাকো এখানকার মানুষদের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম।
সেতুটির পশ্চিম পাশে ফসলী জমি ও শতাধিক মানুষের বসবাস। সড়কের অভাবে পথচারীদের দূর্ভোগের পাশাপাশি ফসলের সময়ে ধান কেটে আনতে নানা ধরণের কষ্ট পোহাতে হচ্ছে শত শত কৃষকদের। এছাড়াও পশ্চিম পাশে সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষদের শশ্মান ঘাট থাকায় কেউ মারা গেলে সড়কের অভাবে কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে লাশ নিয়ে যাওয়া।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আমাদের আগে সড়ক প্রয়োজন হলেও সড়কের বিষয়টি নিশ্চিত না করে অপরিকল্পিতভাবে এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। কার স্বার্থে এবং কি কারণে এটি নির্মাণ করা হলো এটা আমরা বোধগম্য নয়। তাদের দাবি অতিদ্রুত সেতুটির দু'পাশে সড়ক নির্মাণ করা হলে হাজারো মানুষ উপকৃত হবে।
সরাইল উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. আনিছুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদেরকে আমি ঘোষপাড়া রাস্তাটির করার বিষয়ে জানাবো। যাতে ব্রীজের পাশে মাঠি ভরাট করে মানুষ চলাচল করতে পারে। এত বছর আগের করা ব্রিজ কেন রাস্তা হলোনা সরজমিনে দেখে এর ব্যবস্থা করা হবে।
সরকারী অর্থ ব্যয়ে নির্মিত ব্রীজটির বিষয়ে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, দীর্ঘদিন আগের ব্রিজের দুইপাশে সংযুক্ত সড়ক না করে যারা এভাবে সেতুটি ফেলে গেছে তারা অবশ্যই দায়-দায়িত্ব নিতে হবে। সরকারি অর্থে সেতু নির্মাণ হবে আর সড়কের অভাবে জনগণ চলাচল করতে পারবে না এটা দুঃখজনক। কেনো রাস্তাটি হলো না বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।