মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে আখেরি মোনাজাতের ভেতর দিয়ে তিন দিনের উত্তরের জেলা নীলফামারীর আঞ্চলিক ইজতেমা শেষ হয়েছে।
আজ শনিবার (২ নভেম্বর) সকাল থেকে জেলা শহরের ৫ কিলোমিটার অদুরে নীলফামারী-রংপুর মহাসড়কের দারোয়ানীর বিশাল মাঠ ও সংলগ্ন সড়কগুলোতে জড়ো হয় লাখো ধর্মপ্রাণ মুসল্লি। বেলা ১২টা ৫ মিনিট থেকে ১২টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত ৩০ মিনিট স্থায়ী এই মোনাজাত পরিচালনা করেন তাবলিগ জামায়াতের সদস্য মোঃ মনির বিন ইউসুফ।এ সময় অনেককে আশপাশের বাড়ির ছাদ, থেমে থাকা যানবাহন এবং নিজ নিজ অবস্থান থেকে মোনাজাতে অংশ নিতে দেখা যায়।
আখেরি মোনাজাতে অংশ নেয়া সাধারন মুসল্লিরা জানান, গতবছরের থেকে এবার নীলফামারীর ইজতেমায় অসংখ্য মুসল্লি জমায়েত হয়ছে। যা ধারনা করা হচ্ছে আখেরি মোনাজাতে প্রায় আড়াই লাখ মুসল্লি শরিক হয়েছেন।
জেলা তাবলীগ জামায়াতের আমীর ও নীলফামারী সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্য প্রফেসর দিদারুল ইসলাম বলেন, গত বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) ফজরের নামাজের পর বয়ান পেশের মধ্য দিয়ে তিনদিন ব্যাপী নীলফামারীর আঞ্চলিক ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছিল। গতকাল শুক্রবার ইজতেমায় প্রায় দুই লাখ মুসল্লি জুম্মার নামাজ আদায় করেছিলেন। আজ শনিবার যোহরের নামাজের পূর্বেই আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়। ইজতেমায় অংশ নেয়া মুসল্লিরা ইজতেমার মাঠে যোহরের নামাজ শেষে নিজ নিজ বাড়ি ফিরে গেছেন। তিনি জানান দেশের বিভিন্ন স্থানের লাখো মুসল্লি ও ইন্দোনেশিয়ার ৪ জন মহিলা মুসল্লি সহ ৩১ জন ও মালোশিয়ার ৯ জন মোট ৪০ জন বিদেশী মুসল্লি নীলফামারীর আঞ্চলিক ইজতেমায় অংশ নিয়েছেন।
সদর থানার ওসি এম,আর সাঈদ জানান, ৫ স্তরের নিরাপত্তা বলোয়ের মধ্যে ইজতেমার মাঠে ছিলেন পুলিশ সহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আজ শনিবার দুপুরে আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ইজতেমার সমাপ্ত হয়েছে। মুসল্লিরা ইজতেমার মাঠ যাতে ভালভাবে ছেড়ে বাড়ি ফিরতে পারে সেদিকেও পুলিশ বাহিনী সহযোগীতা করে যাচ্ছেন।