উপজেলা প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় রাজশাহীর পুঠিয়ায় তিন ফসলিজমিতে অবৈধভাবে চলছে অবাধে পুকুর খনন। গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর গুলি শত শত বিঘা ফসলি জমি নষ্ট করেছে রাতের আঁধারে। ৫ আগষ্টের পর আবার শুরু করেছে বিএনপির নেতারা। ৩৫ থেকে ৪০ বিঘা ফসলি জমি নষ্ট করে পুকুর খননের অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন বিএনপির প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে।
সরজমিনে খোঁজ নিয়ে এলাকাবাসীর নিকট জানা যায় ,পুকুর খনন করছে তাহেরপুরের সাবেক মেয়র মিন্টু, স্থানীয় বিএনপি নেতা রউচ আর দেখাশোনা করছে হান্নান। তিনিই ভেকুর মালিক। ফসলি জমিতে রাতের আধারে পুকুর খনন করা হলেও এই প্রভাবশালীদের ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না স্থানীয় অসহায় কৃষকরা। সংবাদে প্রকাশ হলে প্রশাসন ভেকুর ব্যাটারি জব্দ করলেও রহস্যজনকভাবে ২-৩ দিন পরে আবারও ব্যাটারী চলে আসছে ক্ষমতাধরদের হাতে। গত ১৫ বছরে পুঠিয়ায় শত শত বিঘা জমি খনন ও সেটার একাধিক সংবাদ প্রকাশ হলেও পুঠিয়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি কারো নামে মামলা। খননকারীকে চাপ দিয়ে জমি পূর্ণ ভরাটের ব্যবস্থা নেয়নি পুঠিয়া উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা প্রশাসন নীরব থাকায় অন্যান্য মানুষ সাহস পাচ্ছে ফসলি জমি খনন করার। কেউ কেউ আবার টাকার বিনিময়ে পুকুর খননের ব্যবসা খুলে রেখেছে বলে জানায় স্থানীয় জনগণ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কৃষক জানান, আমাদের এইসব জমিতে অনেক ভালো ধান, পাট, ভুট্টা হতো কিন্তু তারা এসব জমি কৃষকদের বেশি টাকার লোভ দেখিয়ে কৌশলে তাদের কাছে থেকে হাতিয়ে নিয়ে পুকুর খনন করছে। কেউ জমি দিতে রাজি না হলে তাদের ভয় ভীতি দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে তাদের জমি। এতে আমাদের যেমন কৃষি জমি কমে যাচ্ছে অন্যদিকে তৈরি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। আমরা প্রানের ভয়ে তাদের কিছু বলার সাহস পাচ্ছিনা। আমার জমির পাশে পুকুর হলে আমার জমিতে ফসল ঠিক মত আসবেনা বলে বাধ্য হয়ে জমি কম টাকায় দিতে হচ্ছে।
এবিষয়ে পুঠিয়া উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা দেবাশীষ বসাক বলেন, গোড়াগাছি বিলে ফসলি জমিতে পুকুর খননের তথ্য পাওয়ার পর থানা পুলিশ সাথে নিয়ে সেখানে আমরা অভিযান চালায়। কিন্তু আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে পুকুর খননকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।পরে আমরা গাড়ির ব্যাট্যারি জব্দ করে নিয়ে আসি। ফসলি জমিতে পুকুর খনন বন্ধে আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে একাধিক বার মুঠোফোনে কল দিলে তিনি ফোন না ধরায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।