ভারত সীমান্তের ভেতরে এক দিনের ব্যবধানে খাসিয়াদের গুলিতে আরেক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। নিহত সবুজ মিয়া (২২) সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী ভিতরগুল গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে সবুজ মিয়ার সহযোগীরা তাঁর লাশ বাংলাদেশের ভেতরে নিয়ে আসার পর বিজিবি ও পুলিশ লাশটি উদ্ধার করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সিলেট ৪৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাফিজুর রহমান।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে জৈন্তাপুর উপজেলার সীমান্ত এলাকায় ‘ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে’ মো. মারুফ মিয়া (১৬) নামের এক বাংলাদেশি কিশোর নিহত হয়। সে জৈন্তাপুরের ঝিংগাবাড়ি গ্রামের মো. শাহাবুদ্দীনের ছেলে। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ভারতীয় খাসিয়ার গুলিতে এ নিয়ে দুইজনের মৃত্যু হল।
বিজিবি সূত্র জানায়, গতকাল সন্ধ্যা সাতটার দিকে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী ভিতরগুল গ্রামের সবুজ মিয়াসহ কয়েকজন ভারতের ভেতরে খাসিয়াদের এলাকায় যান। তাঁদের মধ্যে দ্বন্দ্বের একপর্যায়ে ভারতীয় খাসিয়ারা বন্দুক দিয়ে ছররা গুলি ছোড়ে। এতে সবুজ মিয়া গুলিবিদ্ধ হন। তাঁর দেহ ভারতের ভেতরে থেকে যায়। ঘটনাটি ভারতের সীমান্ত পিলার ১২৬১ থেকে আনুমানিক ২০০ গজ ভেতরে ঘটেছে।
বিজিবির সদস্যরা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পিলারের কাছে যান। তখন সবুজ মিয়ার পরিবারের সদস্যরা বিজিবি টহল দলকে জানান যে বিকেল থেকে সবুজকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। রাত পৌনে ১২টার দিকে সীমান্তের বাংলাদেশ অংশের ভেতরের জঙ্গলে সবুজের সহযোগীরা তাঁর লাশ নিয়ে আসেন। পরিবারের সদস্যরা তখন বিষয়টি বিজিবি ও পুলিশকে জানান।
বিজিবি সিলেট ৪৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাফিজুর রহমান বলেন, বিজিবি ৪ ব্যাটালিয়ন বিএসএফের কমান্ড্যান্টের সঙ্গে কথা বলেছে। এ ঘটনার জোরালো প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে অপরাধীর বিরুদ্ধে দ্রুত ও কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও বলা হয়েছে।