বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ জুড়ে হলুদ সরিষা ফুলের সমারোহ। ফসলের মাঠ যেন এক হলুদের রাজ্যে পরিণত হয়েছে। সকালে সূর্যের কিরণ প্রতিফলিত হওয়ার সাথে সাথেই সরিষা ফুলে হেসে উঠে চারিদিক। পরন্ত বিকেলের মিষ্টি রোদে বাতাসে দোল খেতে থাকে সরিষার ফুলগুলো। ফুলগুলো তার কলি ভেদ করে সুভাষ ছড়িয়ে দিচ্ছে চারিদিকে। সরিষা ফুলের মৌ মৌ গন্ধে গ্রামীণ জনপদ হয়ে উঠেছে মনোমুগ্ধকর।
সরজমিনে গিয়ে দেখে যায়, টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে সরিষা ফুলের হলুদ রঙে সেজেছে ফসলের মাঠ। যতদূর চোখ যায় শুধু হলুদ আর হলুদ। পুরো মাঠ যেন হলুদ গালিচায় ঢেকে গেছে। সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহে জন্য এসব জমির পাশে পোষা মৌমাছির সারি সারি বাক্স সাজিয়ে রেখেছে মৌয়ালরা। বাক্স থেকে হাজার হাজার মৌমাছি সরিষার ফুলে ফুলে উড়ে মধু সংগ্রহ করছে। ফুল থেকে মৌমাছিরা মধু সংগ্রহের ফলে সরিষা ফুলে সহজেই পরাগায়ন ঘটে এবং সরিষার ফলন ২০ শতাংশ বেড়ে যায়। একই সাথে মধু আহরণ করে লাভবান হচ্ছে মৌচাষিরা। এছাড়াও সরিষা থেকেই তৈরি হচ্ছে খাঁটি সরিষার তৈল, গরুর স্বাস্থ্যকর খাবার, খৈল এবং জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে সরিষার গাছ। সরিষা চাষে খরচ কম ও বেশি লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছরের ন্যায় উপজেলায় এবছরও ব্যাপকভাবে সরিষা চাষ করেছে কৃষকরা।
উপজেলা সরিষা চাষিরা বলেন- আশা রাখি এবছর সরিষা আবাদ ভালো হবে। প্রথমদিক ঘন কুয়াশার কারণে কিছুটা চিন্তিত ছিলাম। কুয়াশার প্রভাব কেটে যাওয়ায় সরিষার ফলন ভালো হবে। সরিষা আবাদে আমরা ভালো লাভবান হতে পারবো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মোখলেছুর রহমান বলেন- চলতি বছরে যমুনা চরাঞ্চল সহ উপজেলায় ৩ হাজার ৩১০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। উপজেলার ৫ হাজার ৬০০ জন কৃষকে প্রণোদনা কর্মসূচি হিসেবে বিনামূল্যে সরিষার বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। সেই সাথে কিভাবে সরিষার আবাদ বৃদ্ধি করা যায় সেই বিষয়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ মাঠ পর্যায়ে গিয়ে নিয়মিত কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।