চট্টগ্রামের সিআরবিতে আজ সোমবার সকাল সাড়ে সাতটা থেকে নববর্ষ উদ্যাপন পরিষদের উদ্যোগে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। সকাল থেকে নাচ, গান, আবৃত্তি ও কথামালায় চলছে দ্বিতীয় দিনের আয়োজন। তবে এবার লোকসমাগম একেবারেই কম। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় নগরের ডিসি হিলের বর্ষবরণ মঞ্চে ভাঙচুরের পর ভয় ও আতঙ্কে লোকজন কম হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নববর্ষ উদ্যাপন পরিষদ রোববার থেকে শিরীষতলায় দুই দিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। গতকাল বিকেলে শুরু হয় বর্ষবিদায়ের অনুষ্ঠান। রাতে নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে। তবে অনুষ্ঠান চলাকালেই আধা কিলোমিটার দূরত্বে থাকা ডিসি হিলে নববর্ষের অনুষ্ঠানের জন্য নির্মাণ করা মঞ্চ ভাঙচুরের খবর আসে। এ অবস্থায় ডিসি হিলে সোমবারের নববর্ষ বরণের অনুষ্ঠান বাতিল করেন আয়োজকেরা।
তবে আজ সকাল থেকে সিআরবিতে বর্ষবরণ শুরু হয়। ভায়োলিনিস্ট চিটাগংয়ের সমবেত বেহালাবাদনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। এরপর একে একে আনন্দী সংগীত একাডেমি, সংগীত ভবন, রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থা, সুরসাধনা, নজরুলসংগীত শিল্পী সংস্থা, শ্রুতিনন্দন, নটরাজ ইত্যাদি সংগঠন তাদের দলীয় পরিবেশনায় অংশ নেয়। আবৃত্তি পরিবেশন করে বোধন, প্রমা, তারুণ্যের উচ্ছ্বাসসহ বিভিন্ন সংগঠন। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত অনুষ্ঠান চলার কথা রয়েছে।
সিআরবিতে প্রতিবার যে পরিমাণ লোকসমাগম হয়, তার ছিটেফোঁটাও দেখা যায়নি আজ সকালে। শিল্পী-কলাকুশলী এবং তাঁদের আত্মীয়স্বজন ছিল বেশি। সাধারণ নারী-পুরুষ খুবই কম দেখা গেছে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে। সিআরবির বিভিন্ন স্থানে পুলিশের নিরাপত্তা প্রহরা ছিল। ছিল আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টরসহ নানা সরঞ্জাম।
সিআরবিতে ঘুরতে আসা সোহেল নামের এক তরুণ বলেন, অন্যান্যবার সকাল থেকে যে পরিমাণ লোকজন দেখা যায়, সে তুলনায় এবার একেবারেই কম। হয়তো ডিসি হিলে হামলার কারণে ভয়ে লোকজন আসছে না।
গতকাল জেলা প্রশাসন থেকে ডিসি হিলের নববর্ষের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ১৩টি সংগঠনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। ফ্যাসিস্টের দোসর অভিযোগ এনে এই তালিকা সম্মিলিত পয়লা বৈশাখ উদ্যাপন পরিষদকে দেওয়া হয়েছিল বিকেলে। এরপর সন্ধ্যায় মঞ্চে ভাঙচুর চালানো হয়।
এদিকে নগরের নন্দনকাননে ফুলকি প্রাঙ্গণে চলছে ছোটদের বৈশাখী মেলা শীর্ষক তিন দিনব্যাপী আয়োজন। আজ শেষ দিনে সেখানে সকাল থেকে চলছে গান, আবৃত্তি, নাচসহ নানা আয়োজন। নৃত্য, গল্পরাজ্য ও জাদু প্রদর্শনী মেলায় ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে।
আমার বার্তা/এল/এমই