শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। একটি জাতিকে ধ্বংস করার জন্য শিক্ষা ক্ষেত্রকে ধ্বংস করা যথেষ্ট।সুষ্ঠু এবং সাবলীল শিক্ষা ব্যবস্থার অন্যতম অন্তরায় জাল সনদ।জাল সনদের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের আড়ালে বৈধ সনদধারী আজ শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষকের অবস্হান হারাতে বসেছে।
এরূপ শিক্ষা ব্যবস্হায় প্রকৃত শিক্ষা এবং জাতির উন্নয়ন সম্ভব নয়।এজন্য নতুন রাষ্ট্র গড়ার প্রথম পদক্ষেপ হওয়া উচিত শিক্ষা ক্ষেত্রে বৈষম্য দূরীকরণ।জাল সনদের অন্তরালে প্রকৃত সনদধারীরা যেন হারিয়ে না যায় সেটা নিশ্চিত করা। একমাত্র বৈধ সনদধারীদের যোগ্য সম্মান এবং শ্রেণীকক্ষে পাঠদানের ব্যাবস্থা করে দেওয়ার মাধ্যমেই শিক্ষা ব্যবস্থাকে কলুষমুক্ত করা সম্ভব।
এক্ষেত্রে সৎ উদ্দেশ্য এবং সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা একান্ত কাম্য। বিগত সরকারের আমলে শিক্ষা ক্ষেত্রে যে অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা এবং ঘুষ বাণিজ্য চলেছে তা একটি জাতির জন্য অত্যন্ত দুঃখ জনক।এই কলুষিত শিক্ষা এবং নিয়োগ ব্যবস্থাকে অচিরেই কলুষমুক্ত করে জাতিকে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার সুযোগ বতর্মান বৈষম্য বিরোধী সরকারকেই করে দিতে হবে। তা না হলে ভূত সর্ষের ভিতরেই থেকে যাবে।
আজকে বৈধ সনদধারী শিক্ষকেরা রাস্তায় অধিকারের আন্দোলন করে আর অবৈধ সনদধারী শিক্ষক হিসেবে দেদারসে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এ কেমন শিক্ষা ব্যবস্থা? এই হেন অবস্থা থেকে শিক্ষা ক্ষেত্রকে মুক্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।পত্র পত্রিকাসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় নানা রকম জাল সনদের তথ্যাদি একে একে বের হয়ে আসছে।
অর্থের বিনিময়ে সনদ বিক্রি, একই রোল নম্বর ব্যবহার করে একাধিক ব্যাক্তিকে নিয়োগ। এছাড়া নিয়োগ বাণিজ্যে মেতে উঠা ফ্যাসিষ্ট সরকারের অগোছালো শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার জরুরী। শিক্ষা ক্ষেত্র থেকে বৈষম্য দূর মানে জাতিকে কলুষিত অধ্যায় থেকে মুক্ত করা। এক্ষেত্রে সরকারের সদয় দৃষ্টি কামনা করছি।
লেখক : শিক্ষক ও অনলাইন নিউজ এডিটর, দৈনিক আমার বার্তা।
আমার বার্তা/আলিমা আফরোজ লিমা/এল/এমই