কথায় আছে, কোনো জাতিকে যদি ধ্বংস করতে চাও, মেধাশূন্য করতে চাও, অর্থনীতি ও শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংশ করে দাও। তাহলে জাতি ও দেশ নিরবে এমনিতেই ধ্বংস হয়ে যাবে। সেই নীল নকশা ব্যর্থ করতে জেগে ওঠেছিল বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ। ৩৬ জুলাই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হয়। বাংলার স্বপ্নবাচ মানুষ আবার ফিরে পায় তাদের বাকস্বাধীনতা। ফিরে পায় স্তস্ত্বি, স্বপ্ন দেখে হরণকৃত অধিকার ফিরে পাবার। গণমানুষের প্রত্যাশা ও রাষ্ট্র সংস্কারের দায়িত্ব নিয়ে অন্তরবর্তীকালীন সরকারের প্রধান হলেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী বিশ্বব্যক্তিত্ব বাংলাদেশের গর্ব ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার রচিত থ্রি জিরো থিউরির প্রতি আশাবাদী হয়ে মানুষ স্বপ্ন দেখতে শুরু করে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাত দিয়ে বাংলাদেশ দিনকে দিন এগিয়ে যাচ্ছে অনন্য উচ্চতায়। কিন্তু দু:খজনক হলেও সত্য একমাত্র শিক্ষাব্যবস্থায় এ সংস্কারের ছোঁয়া লাগেনি। ভুক্তভোগীরা বারবার আন্দোলন করছে, লিখিত অভিযোগ করছে। শুনেও যেন শুনছে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়। যোগ্যতা অর্জন করেও যোগ্যরা যথাস্থানে যেতে না পারলে- যোগ্যতা অর্জনের মানে কী? তারচেয়েও বড় কথা সমস্যা চিহ্নি হওয়ার পরেও যদি সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়া না হয়, যদি গতানুগনিত ধারা ও বিতর্কীত বায় পুন:বিবেচনা বা বাতিল না হয় তাবে কিসের সংস্কার?
এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার চেয়ে ভুয়া শিক্ষক অধিক ক্ষতিকর। স্বঘোষিত বা অবৈধ সনদের ডাক্তার থেকে রোগীর মৃত্যু ব্যাতিত যেমন ভালো কিছু আশা করা য়ায় না। তেমনি অবৈধ সনদধারী শিক্ষক নামের অমানুষগুলো ব্যক্তি স্বার্থে-ই শিক্ষাক্ষেত্রকে কলুষিত করছে। অনৈতিক সুবিধা ভোগীদের জন্যই ফেসবুকের ভাইরাল পোস্ট- শিক্ষক তোমার আদর্শ কই? প্রশ্নফাঁস বা অবৈধ সনদের উৎস এবং কৃত্রিম শিক্ষক সংকটে জড়িত অসাধু ব্যক্তির ব্যাপারে কঠোর ও যথাযথ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ব্যবস্থা না নেওয়া হলে, কচিকাঁচা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।
বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার বিশাল একটা অংশ বেসরকারি শিক্ষাব্যবস্থা। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগ্য ও দক্ষ শিক্ষক নিয়োগের উদ্দেশ্যে ২০০৫ সালে গঠিত হয় বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এক ঝাঁক স্নাতক-স্নাতকোত্তর করা বিষয়ভিত্তিক নিবন্ধিত শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়ার কাজটা সহজ ও স্বচ্ছ হওয়ার কথা। কিন্তু এনটিআরসিএ যে উদ্দেশ্যে গঠিত হয়েছিল তা যথাযথ অনুসরণ না করে দায়িত্ব অবহেলাসহ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে যুগোপযোগী শিক্ষক নিয়োগ পদ্ধতিকে বির্তকীত করছে। ফলে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)-এর বিরুদ্ধে হাজার হাজার মামলা-মোকদ্দমা এবং লেফাফাদুরস্তি প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। সম্ভবত সে কারণে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না। বিগত সরকারের আমলেও ১১৫৬ জনের জাল সনদ চিহ্নিত করে বেতন-ভাতা ফেরত দিতে প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছিল। এনটিআরসিএ’র ৬০ হাজার সনদই জাল। বর্তমানে ইতোমধ্যে সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বেতন EFT-তে দিতে গিয়ে নতুন করে আরো ১০ হাজার শিক্ষকের সনদ জাল চিহ্নিত হয়েছে। আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে ভিসি বা শিক্ষক নিয়োগে তৎকালিন শিক্ষামন্ত্রীদেরও সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। তবু কেন প্রকৃত সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না? কার স্বার্থে সিন্ডিকেট চক্র ধরা-ছোঁয়ার বাইরে?
দুর্জন বিদ্ব্যান হলেও পরিত্যাজ্য। কিন্তু অপরদিকে জাল সনদে শিক্ষক বা জাল সনদ প্রদানকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এ যেন দুর্জন ব্যক্তির-ই পুর্নভাসন। এনটিআরসিএর ব্যর্থতার পাশাপাশি যথেষ্ট অর্জনও রয়েছে। কিন্তু সেই অর্জনগুলো ট্রাম-কার্ড হিসেবে ব্যবহার করে নিবন্ধিত নিয়োগ প্রার্থীদের একটা অংশের সাথে বারবার প্রতারণা করেই যাচ্ছে।
এনটিআরসিএ’র সিস্টেম-দুর্নীতি:
এনটিআরসিএ যোগ্যতার পরীক্ষায় উর্ত্তীণদের ইউনিক রোল প্রদান করেনি।
কম্বাইন্ড মেরিট তালিকা করেছে অথচ পিক অ্যান্ড চুজ পদ্ধতিতে নিয়োগ সুপারিশ করছে।
নিয়োগ সুপারিশ কার্য়ক্রমে (গণবিজ্ঞপ্তিতে) এন্ট্রিলেভেল শিক্ষকদের সাথে ইনডেক্সধারীদের আবেদনের সুযোগ রেখে প্রকান্তরে বদলি বাস্তবায়ন করেছে এবং উদ্দেশ্যেপ্রণোধিতভাবে কৃত্রিম শিক্ষক সংকট করেছে।
শিক্ষক নিয়োগ চক্রের (প্রতি গণবিজ্ঞপ্তিতে) শূন্যপদগুলো আবেদনকৃত যোগ্য প্রার্থী দ্বারা শূন্যপদ পূরণ না করে ( ঘুষ ও সনদ বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে) নতুন করে নিবন্ধন পরীক্ষা নেওয়া।
নিবন্ধিত নিয়োগ প্রার্থীদের এন্ট্রি লেভেল বয়স বিবেচনা না করে, ক্ষেত্রবিশেষ স্ব স্ব নীতিমালা বা বিজ্ঞ আদালতের রায়কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো।
পিক এন্ড চুস পদ্ধতিতে প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক নিয়োগ সুপারিশ কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ায় প্রার্থী হাজার হাজার আবেদন করেও নিয়োগ বঞ্চিত। এনটিআরসিএ’র এ কৌশলগত চরম রসিকতার বিরুদ্ধে প্যানেল প্রত্যাশী নিবন্ধিত শিক্ষক সংগঠনের দীর্ঘ ২০০ দিনের আন্দোলনে শিক্ষক নিয়োগের অনুসরণীয় প্রদ্ধতির ৭ নং পয়েন্ট (ইনডেক্সধালীদের আবেদনের সুযোগ) স্থগিতের মাধ্যমে এন্ট্রিলেভেলের শিক্ষক দ্বারা সকল পদ পূরণের লক্ষ্যে চতুর্থ শিক্ষক নিয়োগ চক্রের নিয়োগ আবেদনেরও পরিবর্তন আনে তৎকালিন শিক্ষামন্ত্রী এবং এনটিআরসিএ।
একজন প্রার্থী স্কুল-কলেজ এই দুই লেভেলের জন্য দুইটি আবেদন করতে পারবেন এবং প্রত্যেক আবেদনের বিপরীতে চল্লিশটি প্রতিষ্ঠান চয়েস থাকবে। কেউ কলেজ নিবন্ধনের বিপরীতে নির্বাচিত না হলে স্কুল নিবন্ধনের বিপরীতে বিবেচনা করা হবে। এই দুইটি প্রক্রিয়ায়ও যদি নির্বাচিত না হয় তবে, শূন্যপদ থাকা সাপেক্ষে সারা বাংলাদেশের যেকোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে ইচ্ছু হলেও থাকবে- ইয়েস অপশন।
কিন্তু চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির প্রাথমিক সুপারিশে দেখা গেল, ৬৮ হাজার শুন্য পদে সুপারিশ পেল মাত্র ২৭ হাজার, চূড়ান্ত নিয়োগ পেল আরও কম। আবারও পদ ফাঁকা থাকল ৪০ হাজারের উপরে।
ধরা যাক- ‘ক’ নামক ব্যক্তি স্কুল ও কলেজ উভয় নিবন্ধনের বিপরীতে আবেদন করেছে। ‘ক’-এর আবেদনকৃত কলেজ শাখার ৯টি প্রতিষ্ঠান এবং স্কুল শাখার ১১ টি প্রতিষ্ঠানে পদ ফাঁকা থাকে।
৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতেও শিক্ষক চাহিদার আবেদন নেওয়া হচ্ছে ঐ ফাঁকা পদগুলোর জন্য। এক আবেদনের ৪০টি চয়েজ এর মধ্যেই যদি পদ ফাঁকা থাকে তাহলে -ইয়েস অপশন রাখার যৌক্তিকতা কী?
এছাড়াও একাধিক ব্যক্তির এবং একাধিক ব্যাচের একই বিষয়ের একই রোল রয়েছে। রোল একই হওয়ায় প্রকৃত পক্ষে উচ্চমার্কের (বৈধ বা অবৈধ সনদে) একই ব্যক্তি বারবার সুপারিশ প্রাপ্ত হন। সুপারিশকৃত ব্যক্তি ইনডেক্সধারী বা অবৈধ সনদধারী হলে চূড়ান্ত সুপারিশ থেকে প্রাথমিক সুপারিশকৃত ব্যক্তিকে বাদ দেওয়া হয়। কিন্তু ঐ শূন্যপদগুলো আবেদনকৃতদের মধ্য থেকে পূরণ করা হয় না। সবচেয়ে দুঃখজন এটা যে, একই ব্যক্তিকে কেন একই প্রতিষ্ঠানে প্রতি গণবিজ্ঞপ্তিতেই আবেদন করতে হবে?
সরকার পতনের পর নতুন করে নানা কার্যক্রম শুরু হয় শিক্ষাখাতে। এতে বেড়িয়ে আসতে থাকে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ের শিক্ষাখাতের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি। সাবেক শিক্ষা উপদেষ্ঠা বলেন- শিক্ষাখাতে এতো বিস্তৃতভাবে দুর্নীতি আছে যে, এটা তো রাতারাতি ঠিক করা প্রায় অসম্ভব। এই দুর্নীতির ব্যাপ্তির এবং মাত্রা দেখে যে কোনো সুস্থ মস্তিকের মানুষের মাথা ঘুরে যাওয়ার কথা।
সময়ের সাথে সাথে বিগত স্বৈরাচার সরকারের জনবিরোধী ও বির্তকীত বহুরায় বাতিল ও পুর:বিবেচনা করা হয়। বর্তমান শিক্ষা উপদেষ্টা দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন বলে ১-১২তমদের পাশে থাকতে বলেছেন। এনটিআরসিএ’র বর্তমান চেয়ারম্যান নিয়োগ বঞ্চিত নিবন্ধিত শিক্ষক প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনায় একথা স্বীকার করেন যে, ১-১২তম ব্যাচে উত্তীর্ণরা চরম বৈষম্য এবং সিস্টেম-দুর্নীতির শিকার। তাদের নিয়োগের জন্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পেতে চিঠি ইস্যু করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্ঠার কার্যালয় হতে নিয়োগের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। গত ১১ ফেব্রুয়ারি আন্দোলনরত নিবন্ধিত শিক্ষকদের ৮ জনের প্রতিনিধি ট্রিমকে মন্ত্রণালয়ে ডেকে নিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা ও সচিব স্যারের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানালেন যুগ্ম সচিব এবং মাঠে বার্তা দিতে বললে যে, অতিদ্রুত আপনাদের ব্যাপারটা সমাধান হবে। আপনারা নিয়োগ পাবেন। তাহলে এরা কি কাজ করছেন না?- নাকি কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না? কেন স্থায়ী কোনো সুরাহা হচ্ছে না? NTRCA-এর আয়নাঘরের জিম্মি অবস্থা থেকে কেন মুক্ত হতে পারছে না ১-১২তম ব্যাচের নিবন্ধিত শিক্ষকেরা?
বছরের পর বছর চাহিদা দিয়েও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক পাচ্ছে না। অপরদিকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনেক শিক্ষকের এমএড-বিএড এবং শিক্ষক নিবন্ধন সনদসহ পিডিএস আইডি থাকা সত্তে¡ও হচ্ছেন বৈষম্যের শিকার। নিয়োগ বঞ্চিত বৈষম্যের শিকার ২১ হাজার ৭৯৬ জন নিয়োগের জন্য বারবার আন্দোলন করছে। আন্দোলনকারীদের নিয়োগ দিতে নতুন করে শূন্যপদ সৃষ্টির প্রয়োজন নেই। তাদের দাবি- এনটিআরসিএ কর্তৃক শিক্ষক নিয়োগ চক্রে (গণবিজ্ঞপ্তিতে) আবেদনকৃতদের দিয়ে শূন্যপদ পূরণ না করায় বৈষম্যের শিকার ও সিস্টেম-দুর্নীতিতে নিয়োগ বঞ্চিত ১-১২তম ব্যাচে উত্তীর্ণ নিয়োগযোগ্য নিবন্ধিত শিক্ষকদের ডাটাবেস পৃথক করে এন্ট্রিলেভেল বয়স বিবেচনা করে একটি বিশেষ সুযোগের মাধ্যমে নিয়োগ দিতে হবে। নিয়োগের উদ্দেশ্যে সব শর্তে উত্তীর্ণদের শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠানে সুপারিশের উদ্দেশ্যে (গণবিজ্ঞপ্তিতে) নির্ধারিত ফি-এর বিপরীতে আবেদন গ্রহণ করে অথচ প্রথম গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনকৃত প্রার্থীর আবেদনের বিপরীতে শুন্যপদ পূরণ না করে দ্বিতীয় গণবিজ্ঞতিতে আবার ঐসব পদে শিক্ষক চাহিদা নেওয়া হয়। একইভাবে দ্বিতীয় গণবিজ্ঞপ্তির ফাঁকাপদে তৃতীয় গণবিজ্ঞতিতে, তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির ফাঁকাপদে চতুর্থ। পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিও এর ব্যতিক্রম নয়। বিচার বিভাগের রায় (মামলার) আপিল বা রিভিউ সচল করে এবং বিদ্যমান আইনের বাইরে কিছু করার নেই অযুহাতে কালক্ষেপণ করে, ১-১২তম ব্যাচের পরবর্তীদের জন্য নীতিমালা ১-১২তমদের উপর প্রয়োগ চাপিয়ে দিয়ে প্রকান্তরে দ্বিতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে বৈধ সনদধারীদের নিয়োগ সুপারিশ কার্যক্রম হতে বঞ্চিত করেছে।
গুণগত ও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করণসহ শিক্ষাব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করতে শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে সূক্ষ্মভাবে চিন্তা কথার সময় এসেছে- জনস্বার্থ বা সংস্কারে ব্যাঘাত ঘটাতে যৌক্তিকদাবি পূরণ না করে কৌশলে কেউ অর্ন্তরবর্তীকালীন সরকারের জন্য বিব্রতকর পরিস্থিত সৃষ্টির পায়তাড়া করছে না তো? চেতনার অবক্ষয় প্রকৃত সংস্কারের অন্তরায়। তাই একজন সুপারম্যানের হাত দিয়ে সুপারসনিক গতিতে সংস্কারগুলো করতে হবে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সুফল শিক্ষাব্যবস্থায় পৌঁছে দিতে শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতিটি পরতে পরতে সংস্কার আনতে হবে। এর বিকল্প কোনো রাস্তা নেই।
লেখক : শিক্ষক, এনটিআরসিএ (১-১২তম) ব্যাচের নিবন্ধিত শিক্ষক।
আমার বার্তা/আমির আসহাব/এমই