গাজায় চলমান যুদ্ধের প্রতিবাদে ইসরায়েলি নাগরিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মালদ্বীপ। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু পার্লামেন্টে অনুমোদিত একটি আইনে স্বাক্ষর করে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করেন।
প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের চলমান নির্মমতা ও গণহত্যার প্রতিক্রিয়ায় সরকারের দৃঢ় অবস্থান এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হয়েছে। মালদ্বীপ ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে অটল সংহতি পুনর্ব্যক্ত করছে।
মুইজ্জুর দপ্তরের একজন মুখপাত্র জানান, নিষেধাজ্ঞাটি তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে।
মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ এই দ্বীপরাষ্ট্রটি বিশ্বের বিলাসবহুল পর্যটন গন্তব্যগুলোর মধ্যে অন্যতম। ফেব্রুয়ারিতে মালদ্বীপে এককভাবে মাত্র ৫৯ জন ইসরায়েলি পর্যটক ভ্রমণ করেছিলেন, যেখানে একই সময়ে মোট বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা ছিল ২ লাখ ১৪ হাজার।
মালদ্বীপ ১৯৯০-এর দশকের শুরুর দিকে ইসরায়েলি পর্যটকদের ওপর থেকে পূর্বের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় এবং ২০১০ সালে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের চেষ্টা করে। তবে গাজা যুদ্ধ ঘিরে দেশটির সরকার ও বিরোধী দলের পক্ষ থেকেই ইসরায়েলিদের নিষিদ্ধ করার দাবিতে চাপ তৈরি হয়।
ইসরায়েল গত বছর তার নাগরিকদের মালদ্বীপ ভ্রমণে সতর্ক থাকতে বলেছিল।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে গাজায় বর্বরোচিত গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এতে এ পর্যন্ত ৫০ হাজার ৯৮৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে, গত মার্চের মাঝামাঝি যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে অন্তত ১ হাজার ৬১৩ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। -- সূত্র: এএফপি
আমার বার্তা/এমই