ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় নানা আজগর আলী (৫৫) নামে এক চায়ের দোকানদারকে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় নানা আজগরকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। পরে রাত ১০টার দিকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবার বলেন, ৩য় শ্রেনী পড়ুয়া নাতনীকে সোমবার (২৮ এপ্রিল) স্কুল থেকে বাড়ি আসার পথে উত্যক্ত করতে থাকে স্থানীয় মৃত কালুর ছেলে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী আল আমিন (৪৫)।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয় নানা আজগর। আলামিনের খোঁজে পুলিশ আসার খবর পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আল আমিনের নেতৃত্বে ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী বাহিনী রামদা, চাপাতি দিয়ে হাত, পা, মাথাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে কুপিয়ে হত্যা করে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রাকিব আল শুভ বলেন, রোগীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
নিহতের ছেলে লিয়াকত বলেন, তার বাবার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বর্তমানে ঢাকা সোহরাওয়ার্দী হসপিটালে রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, হামলাকারীদের চিহ্নিত করা গেলেও পুলিশ জানিয়েছে তাদের গ্রেফতারের স্বার্থে গণমাধ্যমে নাম প্রকাশ না করার জন্য।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিঞা বলেন, আজগর নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার খবরে পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মৃতদেহ সিংগাইর থানায় হস্তান্তর করা হবে।
সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জে ও এম তৌফিক আজম বলেন, এ ঘটনায় নিহতের ছেলে লিয়াকত বাদি হয়ে থানায় মামলা করেছে। ইভটিজিংয়ের অপরাধে আল আমিনকে আসামি করে মঙ্গলবার থানায় মামলা করা হয়। হত্যার ঘটনায় আলামিনসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে আরও ৫/৬ অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে পৃথক আরও একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।
আমার বার্তা/এল/এমই