ঈদের ছুটি কাটিয়ে আজও কর্মস্থলে ফেরা মানুষের ভিড় বেড়েছে সিরাজগঞ্জের যমুনা সেতু পশ্চিম মহাসড়কে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে কাউন্টারগুলোতে গণপরিবহনের জন্য অপেক্ষমাণ যাত্রীর সংখ্যাও বাড়তে থাকে।
উত্তরের জেলাগুলো থেকে ছেড়ে আসা বাসগুলোতে আসন সংখ্যা সীমিত থাকায় দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে যাত্রীদের। আদায় করা হচ্ছে বাড়তি ভাড়াও। এতে ভোগান্তি বেড়েছে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) ভোর থেকেই কড্ডার মোড় ও হাটিকুমরুল মোড়ে বাসের জন্য ভিড় করতে দেখা যায় যাত্রীদের। বেলা বাড়ায় সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের চাপও বাড়তে থাকে বাস কাউন্টারে। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে যাত্রীদের।
বেসরকারি একটি ব্যাংকে চাকরিজীবী শেখ ফরিদ নামে এক যাত্রী বলেন, ‘এখনও ২ দিন ছুটি আছে। কিন্তু শেষ মুহূর্তের রাস্তায় অনেক ভিড় ও যানজট হয়। তাই আগেভাগেই ঢাকায় ফিরছি।’
বগুড়া থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বাসের যাত্রী রিপন অভিযোগ করে বলেন, ‘কাউন্টারের বাসগুলোতে সিট ফাকা না থাকায় লোকালবাসগুলো অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করছে। ফলে অনেককেই দীর্ঘ সময় মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থেকে গন্তব্যে যেতে পারছেন না। এতে তীব্র গরমে পরিবার নিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রী। তবে মহাসড়কের যানজট না থাকায় অনেকটা স্বস্তিতে মানুষ রাজধানীতে ফিরতে পারছে।’
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ জানান, যমুনা সেতুর পশ্চিম মহাসড়কের কোথাও কোনো যানজট না থাকায় উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা যানবাহনগুলো ভোগান্তি ছাড়াই ঢাকায় উদ্দেশ্যে যমুনা সেতু পাড়ি দিচ্ছে।
তিনি আরও জানান, মহাসড়কে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি যাত্রীদের নিরাপত্তায় মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে জেলা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের মোবাইল টিম কাজ করছে।
আমার বার্তা/এল/এমই