চট্টগ্রাম নগরের হালিশহরে নালায় পড়ে মরিয়ম নামে ৩ বছর বয়সী এক শিশু নিহত হয়েছে। বুধবার (০৯ জুলাই) দুপুর ৩টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি টিম শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হালিশহরের আনন্দপুর এলাকায় শিশুটি বাড়ি। সে পাশের একটি দোকানে যাচ্ছিল। পথে একটি নালার স্ল্যাব ছিল না এবং এর ওপরে পানি জমে ছিল। ফলে সেখানে নালা আছে সেটি বোঝার উপায় নেই। অসাবধানতাবশত শিশুটি সেখানে পা রাখলে নিচে পড়ে যায় এবং পানির স্রোতে ভেসে যায়। প্রথমে স্থানীয়রা এবং পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা উদ্ধার অভিযান চালায়।
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে আগ্রাবাদ স্টেশন থেকে দ্রুত ডুবুরি টিম পাঠানো হয়। তারা অল্প সময়ের মধ্যে শিশুটিকে উদ্ধার করে। তবে তাকে প্রাণে বাঁচানো যায়নি।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম শহরে প্রায়ই খাল-নালায় পড়ে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ আহত হওয়া ও হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। কিছু ঘটনায় পরে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ বছরের ১৮ এপ্রিল রিকশা থেকে ছিটকে উন্মুক্ত নালায় পড়ে যায় দুই নারী ও তাদের সঙ্গে থাকা সেহরীস নামে ছয় মাস বয়সী এক শিশু। স্থানীয়দের সহায়তায় দুই নারীকে তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করা হয়। পানির স্রোতে শিশুটি তলিয়ে যায়। পরদিন চাক্তাই খাল থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে ২০২১ সালের ২৫ আগস্ট মুরাদপুর মোড়ে সবজি বিক্রেতা সালেহ আহমেদ বৃষ্টির মধ্যে নালায় পড়ে নিখোঁজ হন। দীর্ঘদিন উদ্ধার অভিযান চালানো হলেও তার মরদেহ আর পাওয়া যায়নি। একই বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর আগ্রাবাদ এলাকায় হাঁটার সময় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী সেহেরীন মাহবুব সাদিয়া উন্মুক্ত নালায় পড়ে মারা যান।
২০২১ সালের ৭ ডিসেম্বর ষোলশহর এলাকায় নালায় পড়ে নিখোঁজ হয় শিশু কামাল। তিন দিন পর মুরাদপুর থেকে উদ্ধার হয় তার নিথর দেহ। ২০২৩ সালের ২৭ আগস্ট আগ্রাবাদ রঙ্গীপাড়ায় উন্মুক্ত নালায় পড়ে যায় ১৮ মাসের শিশু ইয়াছিন আরাফাত। ১৭ ঘণ্টার চেষ্টার পর উদ্ধার হয় তার মরদেহ।
আমার বার্তা/এমই