
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডে পৈতৃক সম্পত্তি দখল ও সীমানা লঙ্ঘন করে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বাসিন্দা সাব্বির হোসেনের বিরুদ্ধে।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি মো: মুরাদ হোসেন এ বিষয়ে তাড়াশ পৌরসভার প্রশাসকের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, তার পিতা মরহুম মোবারক হোসেনের বৈধ উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত জমিটি তাড়াশ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে, ৪ নং ওয়ার্ডের ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত।
মো: মুরাদ হোসেন অভিযোগ করেন, বিগত সরকারের সময়ে তৎকালীন পৌর মেয়র আব্দুর রাজ্জাক (আহবায়ক, তাড়াশ পৌর আওয়ামী লীগ) ও ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শামীম সরকার (সদস্য, তাড়াশ পৌর আওয়ামী লীগ) তাদের রাজনৈতিক প্রভাব ও আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে স্থানীয় ব্যক্তি **সাব্বির হোসেনের কাছে তার প্রায় ২ শতাংশ পৈতৃক জমি অবৈধভাবে দখল করিয়ে দেন।
বর্তমানে সাব্বির হোসেন পৌরসভার অনুমোদন নিয়ে ভবন নির্মাণ করছেন, তবে অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী নয়— বরং সীমানা লঙ্ঘন করে পুরো জায়গা জুড়ে বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন, যা পৌর ভবন নির্মাণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
মো: মুরাদ হোসেন বলেন,“আমার পৈতৃক সম্পত্তির অংশ জবরদখল করে সাব্বির হোসেন সীমানা না মেনে ভবন নির্মাণ করছেন। এতে আমার বৈধ মালিকানাধীন জায়গা দখল হয়ে যাচ্ছে।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, পৌর কর্তৃপক্ষের যথাযথ তদারকি না থাকায় অনুমোদন থাকা সত্ত্বেও নকশা অনুসরণ করা হচ্ছে না।
অভিযোগে তিনি অবৈধ নির্মাণকাজ অবিলম্বে বন্ধ করা, ঘটনাস্থলে সরেজমিন তদন্ত, জমির প্রকৃত সীমানা যাচাই ও তাঁর বৈধ দখল পুনঃপ্রদানের দাবি জানিয়েছেন। একইসঙ্গে, সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে পৌর আইন ও দণ্ডবিধি অনুযায়ী প্রশাসনিক ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছেন।
মো: মুরাদ হোসেন আশা প্রকাশ করেন, প্রশাসনের ন্যায়নিষ্ঠ ও কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে তার পৈতৃক সম্পত্তি দখলমুক্ত হবে এবং ভবিষ্যতে সীমানা লঙ্ঘন করে নির্মাণের প্রবণতা বন্ধ হবে।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত সাব্বির হোসেনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগের বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট মন্তব্য করতে পারেননি।

