
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারে বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের রফতানি বেড়েছে ১৩ শতাংশের বেশি। ইউরোস্ট্যাটের পরিসংখ্যানে এমন তথ্য মিললেও বিজিএমইএর দাবি, রফতানির পরিমাণ বাড়লেও গড়ে ২ শতাংশের বেশি কমেছে প্রতি ইউনিট পোশাকের দাম।
চাহিদা বাড়ার পাশাপাশি পোশাকের দাম প্রতিযোগিতামূলক থাকায় চলতি বছরের প্রথম ৯ মাস, অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর সময়ে বিভিন্ন দেশে থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে তৈরি পোশাক আমদানি ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ বেড়েছে। আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৮ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ইউরোতে।
এ সময়ে ইউরোপের বাজারটিতে বাংলাদেশি পোশাকের রফতানি ১৩ দশমিক ১৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ইউরোতে। যা ২০২৪ সালের একই সময়ে ছিল ১৩ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন ইউরো।
তবে তৈরি পোশাক রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর হিসাব বলছে, এসময়ে রফতানির পরিমাণ বাড়লেও পোশাকের দাম বছর ব্যবধানে কমেছে ২ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ।
এদিকে, ইউরোপের বাজারের শীর্ষ পোশাক রফতানিকারক হিসেবে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছে চীন। ইইউর বাজারে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশটির তৈরি পোশাক রফতানি ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ বেড়ে ঠেকেছে ১৯ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ইউরোতে।
বাংলাদেশের পর অবস্থান করছে ভারত, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া। তবে তৃতীয় স্থানে থাকা তুরস্কের তৈরি পোশাক রফতানি প্রায় ১০ শতাংশ পড়ে গেছে।
আমার বার্তা/এল/এমই

