
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এবং আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার জানান, শিক্ষার্থীদের আবেদনের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়েছে। প্রতিটি খাতা খুব সতর্কতার সঙ্গে পুনরায় যাচাই করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আবেদনকারীরা সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে ফল দেখতে পারবেন, পাশাপাশি নিবন্ধিত মোবাইল নম্বরে এসএমএসও পাবেন।
বোর্ড–সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এবার খাতা পুনঃনিরীক্ষণের জন্য রেকর্ডসংখ্যক আবেদন জমা পড়েছে। দেশের ১১টি বোর্ডে মোট ২ লাখ ২৬ হাজার শিক্ষার্থী ৪ লাখ ২৮ হাজার খাতা পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়ে ঢাকা বোর্ডে এবং সবচেয়ে কম আবেদন আসে বরিশাল বোর্ডে। বিষয় অনুযায়ী ইংরেজি ও আইসিটি বিষয়ে সর্বোচ্চ আবেদন করা হয়েছে। মূল ফল প্রকাশের পর ১৭ থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত সাত দিনের মধ্যে প্রতি বিষয়ে ১৫০ টাকা ফি দিয়ে শিক্ষার্থীরা আবেদন করেন।
এ বছর সারা দেশের ৯ হাজার ১৯৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেন ৭ লাখ ২৬ হাজার ৯৬০ জন—পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ। অনুত্তীর্ণ হয় ৫ লাখ ৮ হাজার ৭০১ জন, যা ৪১.১৭ শতাংশ। ছাত্রীদের পাসের হার ছিল ৬২.৯৭ শতাংশ এবং ছাত্রদের ৫৪.৬০ শতাংশ।

